‘Consent of Minor Girl is Immaterial’: শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নাবালিকার সম্মতি অপ্রাসঙ্গিক, অভিযুক্তকে ১০ বছরের সাজা আদালতের

আদালতের পর্যবেক্ষন, নির্যাতিতা নাবালিকা হওয়ার দরুন শারীরিক সম্পর্ক তৈরির ক্ষেত্রে তাঁর সম্মতি অপ্রাসঙ্গিক। তাই সেক্ষেত্রে নাবালিকা তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে উল্লেখ আদালতের।

Court Oder Rep Image

মুম্বই, ৯ মার্চঃ ১৬ বছরের নাবালিকার (Minor Girl) সঙ্গে দিনের পর দিন সহবাস এবং তাঁকে অন্তঃসত্ত্বা করার অভিযোগে মুম্বইয়ের স্পেশাল পকসো আদালত অভিযুক্তকে কারাবাসের সাজা শুনিয়েছে। ৪২ বছরের অভিযুক্তকে ১০ বছরের জন্যে হাজতবাসের নির্দেশ দিয়েছে বিচারক।

আদালতে অভিযুক্ত ব্যক্তি জানিয়েছেন, নাবালিকা শারীরিক সম্পর্কের জন্যে তাঁকে বাধ্য করেছিল। সম্পর্কে না জড়ালে আত্মহত্যার হুমকিও দিয়েছিল সে। সেই অভিযোগ পুলিশের কাছে শিকারও করেছে তরুণী। যদিও অভিযুক্তের যুক্তি আদালতে ধোপে টেকেনি। পকসো স্পেশাল আদালতের (POCSO Special Court) বিচারক এস এম টাকালিকরের পালটা যুক্তি, নাবালিকা তরুণীর শারীরিক সম্পর্কের চাহিদার কথা অভিযুক্তের উচিৎ ছিল তাঁর বাবা-মায়ের কাছে জানানো। কিন্তু তিনি তা না করে নাবালিকার সঙ্গে দিনের পর দিন শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করেছেন। তাঁকে অন্তঃসত্ত্বা করেছেন।

ওই নাবালিকা একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষায় (DNA Test) দেখা গিয়েছে, অভিযুক্তই ওই সন্তানের বাবা। আদালতের পর্যবেক্ষন, নির্যাতিতা নাবালিকা হওয়ার দরুন শারীরিক সম্পর্ক তৈরির ক্ষেত্রে তাঁর সম্মতি অপ্রাসঙ্গিক। তাই সেক্ষেত্রে নাবালিকা তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে উল্লেখ আদালতের।

পাবলিক প্রসিকিউটর গীতা মালঙ্কর অভিযুক্তের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের দাবি জানিয়েছিলেন। তবে ২০১৯ সালে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে জেলের মধ্যে অভিযুক্তের আছাড় আচরণ ব্যবহার সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে সাজা কমিয়ে ১০ বছরের কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।