গণধর্ষণের সাজা পেল নির্যাতিতা , নাবালিকাকে মাথা মুড়িয়ে ঘোরানো হল গোটা গ্রাম
নাবালিকাকে বাড়ির কাছ থেকে অপহরণের পর গণধর্ষণ করা হয়। ঘটনাটি গটেছিল গত ১৪ আগস্ট সন্ধ্যায়। বাড়ি লাগোয়া রাস্তা থেকেই একটি গাড়িতে জোর করে তুলে নেওয়া হয় ওই নাবালিকাকে। অপহৃত হয়েছে বুঝতে পেরেই ওই পাষণ্ডদের হাত থেকে কোনওকর্মে পালাতে সক্ষম হয় নাবালিকা। তবে কপাল খারাপ বেশি দূর যেতে পারেনি। তার আগেই তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় পঞ্চায়েত অফিসের বারান্দায়। সেখানে গণধর্ষণের শিকার হয় নাবালিকা। যতক্ষণ নাবালিকার জ্ঞান ছিল ততক্ষণ তার উপরে নারকীয় অত্যাচার চালায় ধর্ষকের দল।
পাটনা, ২৭ আগস্ট: নাবালিকাকে বাড়ির কাছ থেকে অপহরণের পর গণধর্ষণ করা হয়। ঘটনাটি গটেছিল গত ১৪ আগস্ট সন্ধ্যায়। বাড়ি লাগোয়া রাস্তা থেকেই একটি গাড়িতে জোর করে তুলে নেওয়া হয় ওই নাবালিকাকে। অপহৃত হয়েছে বুঝতে পেরেই ওই পাষণ্ডদের হাত থেকে কোনওকর্মে পালাতে সক্ষম হয় নাবালিকা। তবে কপাল খারাপ বেশি দূর যেতে পারেনি। তার আগেই তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় পঞ্চায়েত অফিসের বারান্দায়। সেখানে গণধর্ষণের শিকার হয় নাবালিকা। যতক্ষণ নাবালিকার জ্ঞান ছিল ততক্ষণ তার উপরে নারকীয় অত্যাচার চালায় ধর্ষকের দল। তারপর ফেলে রেখে পালিয়ে য়ায়। পরের দিন সকালে স্থানীয়রা নির্যাতিতাকে বিধ্বস্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তার বাড়িতে খবর দেন।
এরপরে ১২ দিন কেটে গেলেও অভিযুক্তরা সাজা পায়নি। উল্টে নির্যাতিতাকেই শাস্তি দিয়েছে স্থানীয় পঞ্চায়েত মাথা মুড়িয়ে গোটা গ্রাম ঘোরানো হয়েছে তাকে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের গয়া জেলার মোহনপুর ব্লকের (Mohanpur) মাসাউন্ধা গ্রামে। স্থানীয় পঞ্চায়েতের নিদান সেই সময়ের জন্য মাথা পেতে মেনে নিয়েছিল নির্যাতিতার পরিবার। তবে পরে কিন্তু জেলা পুলিশের দপ্তরে সুবিচারের আশায় যান নির্যাতিতার মা। অভিযোগও দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে একজনকে শনাক্তও করেছে নির্যাতিতা নাবালিকা। তবে তার শারীরিক পরিস্থিতি ভাল না থাকায় বাকিদের শনাক্ত করার সুযোগ পায়নি। জানা গিয়েছে এলাকার পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে অভিযুক্তদের একজনের দারুণ সখ্যতা। দুই পরিবারের মধ্যে আত্মীয়তা রয়েছে। এমন নারকীয় অপরাধ করেও শাস্তির ভয় পায়নি অভিযুক্তরা। আরও পড়ুন-Plane Crash in Aligarh: অবতরণের সময় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল বিমান, আলিগড়ে চাঞ্চল্য
বরং নির্যাতিতাকে উল্টে শাস্তি দিয়ে অভিযুক্তদের সুযোগ করে দিয়েছে পঞ্চায়েতের মাথারা। মোহনপুর থানার তরফে গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্তদের মধ্যে পাঁচজন পঞ্চায়েতের কর্মী। ধৃতদের বিরুদ্ধে পকসো (POCSO) আইনে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে মোহনপুর থানার পুলিশ। এই প্রসঙ্গে বিহারের মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন দিলমানি মিশ্র (Dilmani Mishra) গয়ার পুলিশ সুপারকে চিঠি লিখেছেন। ধৃতদের আগামী ২ সেপ্টেম্বর কমিশনের আদালতে হাজির করার জন্য তাঁকে অনুরোধও জানিয়েছেন কমিশনার। বিষয়টি নিয়ে একটি রিপোর্টও তলব করেছেন তিনি।
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)