VIRAL:হিমাচলে মেঘ ভাঙা বৃষ্টি, মাঝনদীতে আটকে পড়া জিপ থেকে ২০জন স্কুলের পড়ুয়াকে উদ্ধার করল ট্রাকটর(ভাইরাল ভিডিও)
মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশের একাংশ। এই বৃষ্টির মধ্যেই জিপে চড়ে স্কুলের উদ্দেশে বেরিয়েছিল একদল খুদে পড়ুয়া। সেই জিপটি বন্যা কবলিত ইন্দোরা কান্দ্রোরি লিংক রোডে আটকে যায়। প্রবল বেগে বয়ে চলা জলধারার সামনে জিপের নড়াচড়ার ক্ষমতা ছিল না। সুযোগ বুঝে স্কুলের পড়ুয়া সমেত জিপটিকে রেখে উধাও হয়ে যায় চালক। প্রায় দেবদূতের মতো ঘটনাস্থলে এসে পড়েন এক ট্রাকটর চালক। এই সময়ই আটকে পড়া জিপটি তাঁর চোখে পড়ে যায়। তিনটি জিপ থেকে ২০জন শিশুকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।
কাংরা, ৬ সেপ্টেম্বর: মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশের একাংশ। এই বৃষ্টির মধ্যেই জিপে চড়ে স্কুলের উদ্দেশে বেরিয়েছিল একদল খুদে পড়ুয়া। সেই জিপটি বন্যা কবলিত ইন্দোরা কান্দ্রোরি লিংক রোডে আটকে যায়। প্রবল বেগে বয়ে চলা জলধারার সামনে জিপের নড়াচড়ার ক্ষমতা ছিল না। সুযোগ বুঝে স্কুলের পড়ুয়া সমেত জিপটিকে রেখে উধাও হয়ে যায় চালক। প্রায় দেবদূতের মতো ঘটনাস্থলে এসে পড়েন এক ট্রাকটর চালক। এই সময়ই আটকে পড়া জিপটি তাঁর চোখে পড়ে যায়। তিনটি জিপ থেকে ২০জন শিশুকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হিমাচল প্রদেশের কাংরা জেলায়।
জানা গিয়েছে, বন্যা উপদ্রুত এলাকা থেকে ট্রাকটর নিয়ে যাচ্ছিলেন ওই যুবক। এই সময়ই প্লাবিত ছোঁছ নদীর জলে আটকে পড়া জিপটিকে দেখতে পান তিনি। নিজেও কিছুটা দূর থেকেই কোনওক্রমে বন্যাকবলিত এলাকা থেকে বেরনোর চেষ্টা করছিলেন। ২০জন বাচ্চাকে আটকে পড়া অবস্থায় দেখে তাঁর জেদ চেপে যায়। ট্রাকটরের ট্রলি করে বাচ্চাদের জিপ থেকে নিয়ে আসেন। তখনও নদীর মাঝে আটকে জিপটি। স্থানীয়রা ওই ট্রাকটর চালককে সহযোগিতা করাতে দ্রুততার সঙ্গে বাচ্চাদের উদ্ধার করা গিয়েছে। এরপরেই বাচ্চাদের জিপ চালক অরবিন্দ কুমারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। যদিও এখনও তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। আরও পড়ুন-আপ ছাড়লেন চাঁদনী চকের বিধায়ক অলকা লাম্বা, টুইট করে পদত্যাগ পাঠালেন কেজরিওয়ালকে
উল্লেখ্য, ২০১৬-র বন্যায় ছোঁছ নদীর সেতুটি ভেঙে যায়। হিমাচল প্রদেশে সেই সময় কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায়। সংশ্লিষ্ট সেতুটির পুনর্নির্মাণের জন্য ১২ কোটি টাকা বরাদ্দ ঘোষণা করে। এরপর তিন বছর কেটে গেলেও পূর্ত দপ্তরের গাফিলতিতে সেই সেতু আর তৈরি হয়নি। এর মধ্যে সিমলার গাদাসারি এলাকায় মেঘ ভাঙা বৃষ্টির খবর আসে। আর তার জেরেই একটি সেতু, দুটি পায়ে চলা সেতু ও একটি ওয়াটার মিল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত মাসেই অতিবৃষ্টির জেরে এই হিমাচলে ২৫জনের মত্যু হয়েছে।