New Digital Media Rules in India: সোশ্যাল মিডিয়া, ওটিটি, ডিজিটাল নিউজ ফার্মের ক্ষেত্রে নয়া গাইডলাইন কেন্দ্রের, চলবে ত্রিস্তরীয় পাহাড়া
সোশ্যাল মিডিয়ার কনটেন্স এবং স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করতে কড়া খসড়া নির্দেশিকা প্রকাশ কেন্দ্রের। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবহার করা হচ্ছে 'আপত্তিকর' শব্দ। এই মাধ্যমের মাধ্যমেই হিংসা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ার উপরে এবার ত্রিস্তরীয় মাধ্যমে নজরদারি চালাবে কেন্দ্র। তথ্যপ্রযুক্তি আইন (ইন্টারমিডিয়ারিজ ও ডিজিটাল মিডিয়া এথিক্স কোড) ২০২১-এ এই প্রথমবার নির্দিষ্ট করে বলা হয়েছে, ডিজিটাল সংবাদ সংস্থা, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এবং ওটিটি স্ট্রিমিং সার্ভিসকে কীভাবে সরকার নিয়ন্ত্রণ করবে। এই সংক্রান্ত বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে একটি খসড়া প্রকাশ করেন তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর।
সোশ্যাল মিডিয়ার কনটেন্স এবং স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করতে কড়া খসড়া নির্দেশিকা প্রকাশ কেন্দ্রের। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবহার করা হচ্ছে 'আপত্তিকর' শব্দ। এই মাধ্যমের মাধ্যমেই হিংসা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ার উপরে এবার ত্রিস্তরীয় মাধ্যমে নজরদারি চালাবে কেন্দ্র। তথ্যপ্রযুক্তি আইন (ইন্টারমিডিয়ারিজ ও ডিজিটাল মিডিয়া এথিক্স কোড) ২০২১-এ এই প্রথমবার নির্দিষ্ট করে বলা হয়েছে, ডিজিটাল সংবাদ সংস্থা, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এবং ওটিটি স্ট্রিমিং সার্ভিসকে কীভাবে সরকার নিয়ন্ত্রণ করবে। এই সংক্রান্ত বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে একটি খসড়া প্রকাশ করেন তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর।
ডিজিটাল মিডিয়ায় নজরদারি চালানোর জন্য কেন্দ্রের তরফে তৈরি করা হচ্ছে একটি কমিটি। প্রতিরক্ষা, বিদেশ, স্বরাষ্ট্র, তথ্য ও সম্প্রচার, আইন, তথ্যপ্রযুক্তি এবং নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের প্রতিনিধিরা থাকবেন। ত্রিস্তরীয় ধাপে চলবে নজরদারি। যদি কোনও নিয়মবিরুদ্ধ পোস্ট নজরে আসে সেক্ষেত্রে প্রথম স্তরে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযোগ নথিভুক্ত হবে। ১৫ দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান হবে। এছাড়া মহিলাদের অপমানকর এমন কোনও পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখা হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংস্থাগুলিকে সেই সমস্ত পোস্ট সরিয়ে ফেলতে হবে। এছাড়াও প্রয়োজনে নিয়ম ভাঙার জন্য নির্দিষ্ট কমিটি ডিজিটাল মাধ্যমের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনতে পারে, সতর্ক করতে কিংবা সেন্সর করতে পারে।
স্মার্টফোন, ইন্টারনেটের দুনিয়ায় এখন ডিজিটাল মিডিয়ায় পা রাখা যেকোনও মানুষের হাতের মুঠোয়। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে একাধিক পোর্টাল তাদের খবর পাবলিশ করেন। ভারতীয়রা সবথেকে বেশি কোন সোশ্যাল মিডিয়ার উপর নির্ভর করে।
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারী: ৫৩ কোটি
ইউটিউব ব্যবহারকারী: ৪৪.৮ কোটি
ফেসবুক ব্যবহারকারী: ৪১ কোটি
ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী: ২১ কোটি
টুইটার ব্যবহারকারী: ১.৭৫ কোটি
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এমন একটি জায়গা যেখানে সাধারণ মানুষের ক্রিয়েটিভিটি দেখানোর জায়গা, কাউকে প্রশ্ন করা কিংবা কোনও বিষয় সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে ওয়াকিবহল করে তোলা। সাধারণ মানুষের কথা বলার কিংবা নিজস্ব মতামত প্রকাশের অধিকারে হস্তক্ষেপ একেবারেই করছে না। ভারত হল বিশ্বের অন্যতম জনবহুল দেশ। এখানে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলিকে ব্যবসা করার অনুমতি দেওয়া হলেও দেশের সংহতি এবং সংবিধান অধিকার রক্ষার খাতিরে বিশেষ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে বলে মত কেন্দ্রের।
প্রতিটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের জন্য একজন ভারতীয় নাগরিককে মুখ্য অভিযোগ আধিকারিক হিসেবে নিয়োগ করতে হবে। প্রতিটি প্ল্যাটফর্মের জন্য থাকছেন একজন নোডাল অফিসার। আইন প্রণয়নকারী সংস্থার সঙ্গে যারা সারাক্ষণ কথা বলবেন। এনাকেই দেশের বাসিন্দা হতে হবে। এছাড়াও থাকবেন একজন রেসিডেন্ট গ্রিভেন্স অফিসার। এনাকেও দেশের বাসিন্দা হতে হবে। প্রতিটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মকে প্রতি মাসে একটি করে সম্মতি রিপোর্ট দাখিল করতে হবে। ক'টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে এবং সেটির প্রেক্ষিতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে সেগুলিও খতিয়ে দেখা হবে।