Netaji Subhas Chandra Bose: 'একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও চিন্তাবিদ', জন্মদিনে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুকে শ্রদ্ধা নরেন্দ্র মোদির

আজ নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর (Netaji Subhas Chandra Bos) ১২৩ তম জন্মদিন। জন্মদিনে তাঁকে শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সকালেই তিনি পরপর দুটি টুইট করেন। নেতাজিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সেরা চিন্তাবিদ হিসেবে অভিহিত করেন তিনি। টুইটে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, "ঔপনিবেশিকতাবাদকে প্রতিহত করতে সাহসী এবং অদম্য অবদানের জন্য ভারত সর্বদা নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর কাছে কৃতজ্ঞ থাকবে। তিনি ভারতীয়দের অগ্রগতি ও মঙ্গলেরস স্বার্থে লড়াই করেছেন।"

নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু (File Image)

নতুন দিল্লি, ২৩ জানুয়ারি: আজ নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর (Netaji Subhas Chandra Bos) ১২৩ তম জন্মদিন। জন্মদিনে তাঁকে শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সকালেই তিনি পরপর দুটি টুইট করেন। নেতাজিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সেরা চিন্তাবিদ হিসেবে অভিহিত করেন তিনি। টুইটে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, "ঔপনিবেশিকতাবাদকে প্রতিহত করতে সাহসী এবং অদম্য অবদানের জন্য ভারত সর্বদা নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর কাছে কৃতজ্ঞ থাকবে। তিনি ভারতীয়দের অগ্রগতি ও মঙ্গলেরস স্বার্থে লড়াই করেছেন।"

পরের টুইটে মোদি নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর বাবা জানকীনাথ বসুর (Janakinath Bose) একটি ডায়ারির পাতা পোস্ট করেন। মোদি লেখেন, "১৮৯৭ সালের ২৩ জানুয়ারি জানকীনাথ বসু তাঁর ডায়েরিতে লিখেছিলেন, মধ্যাহ্নে এক পুত্রের জন্ম হল।" এরপর মোদি লেখেন, "এই পুত্র একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং চিন্তাবিদ হয়ে ওঠেন যিনি তাঁর জীবনকে মহান ভারতের স্বাধীনতার প্রতি উৎসর্গ করেছিলেন। জন্মদিনে আমি নেতাজি বসুকে গর্বের সঙ্গে স্মরণ করি।" আরও পড়ুন: Netaji Subhas Chandra Bose: নেতাজি ভবন মেট্রো স্টেশন, স্টেডিয়াম থেকে বিমানবন্দর, শহরের প্রতিটা কোণায় জড়িয়ে রয়েছে সুভাষ চন্দ্র বসুর স্মৃতি

স্বাধীনতা আন্দোলনের এক অন্যতম নাম নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোস (Netaji Subhas Chandra Bose)। ওড়িশার কটক শহরে ১৮৯৭ সালের ২৩ শে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ছোট থেকেই তাঁর জীবন, আদর্শে দেশপ্রেমের ভাব ফুটে ওঠে। সাহেবি সংস্কৃতি তিনি কোনওদিন মেনে নিতে পারেননি। আর সেই থেকে তাঁর মধ্যে স্বাধীনতার জেদ চাপে।

সুভাষচন্দ্র পরপর দু-বার ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি (Congress President) হিসেবে নির্বাচিত হন। কিন্তু মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে আদর্শগত সংঘাত এবং কংগ্রেসের বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ নীতির প্রকাশ্য সমালোচনা বিরুদ্ধ মত প্রকাশ করার জন্য তাঁকে পদত্যাগ করতে হয়। সুভাষচন্দ্র মনে করতেন গান্ধীজির (Gandhiji) অহিংসার নীতি ভারতের স্বাধীনতা আনার ক্ষেত্রে যথেষ্ট নয়। এই কারণে তিনি সশস্ত্র বিদ্রোহের পক্ষপাতী ছিলেন। সুভাষচন্দ্র 'অল ইন্ডিয়া ফরওয়ার্ড ব্লক' নামক একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন। সেসময় ভারতীয়দের ওপর ব্রিটিশদের পাশবিক অত্যাচারে অতিষ্ট দেশবাসী। ব্রিটিশদের হাত থেকে ভারতকে উদ্ধার করতে তিনি স্বাধীনতার বদলে রক্ত চেয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যু নিয়ে আজও রয়েছে ধোঁয়াশা। মুখার্জি কমিশনের মতে, তাঁর মৃত্যুর কোনও যথার্থ প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই গুমনামি বাবা হিসেবে নেতাজীকে মেনে নিয়েছিলেন অনেক মানুষই। আজ তাঁর শুভ জন্মবার্ষিকীতে (Netaji Birth Anniversary) রইল সশ্রদ্ধ প্রণাম।

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now

Share Now