Assam Floods: জল, কাদায় আটকে ট্রেন, উপড়ে পড়ছে রেলের কামরা, বন্যার কবলে অসমের প্রায় ২ লক্ষ মানুষ
ডিমা হাসাওয়ের হোজাই এবং চাচর জেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। অসমের এই দুই জেলায় ৭৮,১৫৭ জন এবং ৫১,৩৫৭ জন মানুষ বানভাসী। অসমের বিপর্যয় মোকাবিলাকারী দলের তরফে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়।
গুয়াহাটি, ১৭ মে: জলে ভাসছে ্অসম (Assam)। একটানা বৃষ্টির (Rain) জেরে বন্যায় (Flood) বিপর্যস্ত অসমের প্রায় ২০টি জেলা। জলের ভেসে দিশেহারা অসমের ২ লক্ষ মানুষ। গোটা রাজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ডিমা হাসাও জেলা। এই জেলার রেল থেকে সড়কপখ, সবকিছুই প্রায় জলের নীচে। ডিমা হাসাওয়ের চাচার জেলায় বন্যার জেরে ২ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে এখনও পর্যন্ত। অন্যদিকে একটানা বৃষ্টি এবং বন্যার জেরে ডিমা হাসাওয়ের একাধিক জাায়গায় ভূমি ধ্বসও চোখে পড়ছে। ধ্বসের জেরে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।
জানা যাচ্ছে, ডিমা হাসাওয়ের (Dima Hasao) হোজাই এবং চাচর জেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। অসমের এই দুই জেলায় ৭৮,১৫৭ জন এবং ৫১,৩৫৭ জন মানুষ বানভাসী। অসমের বিপর্যয় মোকাবিলাকারী দলের তরফে সোমবার এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। ডিমা হাসাওয়ের এই দুই জেলার পাশপাশি আরও ২০টি জেলায় বন্যার প্রকোপ ক্রমশ বাড়ছে।
এই মুহূর্তে ৭টি জেলায় ৫৫টি আশ্রয় শিবির খোলা হয়েছে অসমে। যেখানে ৩২, ৯৫৯ জন মানুষকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে ১২টি বন্যা ত্রাণ কেন্দ্র। যেখানে থেকে অসহায় মানুষকে খাবার থেকে আশ্রয়, সমস্ত কিছু দিয়ে সাহায্যের ক্রমাগত চেষ্টা চালানো হচ্ছে। একটানা বন্যার জেরে অসমে একসঙ্গে কাজ শুরু করেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলাকারী দল এবং রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলাকারী দল। বন্যার জল বাড়তে শুরু করায় ডিমা হাসাওয়ের সঙ্গে অসমের একাদিক এলাকায় সেতু এবং রেললাইন বিপর্যস্ত। ফলে উদ্ধার কাজেও ব্যাঘাত হচ্ছে। ডিমা হাসাওতে বিপর্যয় নামায় সেখানকার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করাও উদ্ধারকারী দলের পক্ষে কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে, গত ১৫ মে থেকে হাফলংয়ের সঙ্গে অসমের অন্য প্রান্তের রেল এবং সড়ক যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। লামডিং-বদরপুর এবং ডিমা হাসাওয়ের দুটি ট্রেন বিপর্যয়ের মুখে পড়লে, সেখান থেকে ২৮,০০ মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে গত কয়েক ঘণ্টায়। বায়ুসেনার বিমানের মাধ্যমে ওই এলাকা থেকে ট্রেন যাত্রীদের উদ্ধার করে। সবকিছু মিলিয়ে অসমে বন্যার জেরে কার্যত চিন্তায় সে রাজ্যের মানুষ।