Shanmuga Subramanian: 'চন্দ্রযান-২' বিক্রমের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে অসাধ্য সাধন ভারতীয় ইঞ্জিনিয়র সুব্রহ্মণ্যনের, চিনে নিন এনাকে
এতদিন পর চাঁদের মাটিতে খুঁজে পাওয়া গেছে ইসরোর পাঠানো 'চন্দ্রযান-২' বিক্রমের ধ্বংসাবশেষ। মঙ্গলবার এক টুইটবার্তায় এই তথ্য জানিয়েছে নাসা (NASA)। টুইট করে তারা বলেন, বিক্রম ল্যান্ডারের ধ্বংসাবশেষের ছবি ধরা পড়েছে নাসা-র উপগ্রহের এলআরও ক্যামেরায়। গত ২৬ সেপ্টেম্বর চাঁদের বুকে বিক্রমের ভেঙে পড়ার জায়গাটির ছবি প্রকাশ করে নাসা। সেই ছবি থেকে একটি অংশকে বিক্রমের ধ্বংসাবশেষ বলে দাবি করেন ভারতীয় কম্পিউটার প্রোগ্রামার ও পেশায় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়র সুব্রহ্মণ্যন। নাসার সর্বশেষ প্রকাশিত ছবিতে সেই জায়গাটিকে ‘এস’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। নাসা যা খুঁজে বের করতে পারেনি তা করে দেখিয়েছেন তিনি। কিন্তু কে এই সুব্রহ্মণ্যন? কীভাবে খুঁজে পেলেন তিনি বিক্রমকে?
নিউ ইয়র্ক, ৩ ডিসেম্বর: এতদিন পর চাঁদের মাটিতে খুঁজে পাওয়া গেছে ইসরোর (ISRO) পাঠানো 'চন্দ্রযান-২' (Chandrayaan 2) বিক্রমের ধ্বংসাবশেষ। মঙ্গলবার এক টুইটবার্তায় এই তথ্য জানিয়েছে নাসা (NASA)। টুইট করে তারা বলেন, বিক্রম ল্যান্ডারের ধ্বংসাবশেষের ছবি ধরা পড়েছে নাসা-র উপগ্রহের এলআরও ক্যামেরায়। গত ২৬ সেপ্টেম্বর চাঁদের বুকে বিক্রমের ভেঙে পড়ার জায়গাটির ছবি প্রকাশ করে নাসা। সেই ছবি থেকে একটি অংশকে বিক্রমের ধ্বংসাবশেষ বলে দাবি করেন ভারতীয় কম্পিউটার প্রোগ্রামার ও পেশায় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়র সুব্রহ্মণ্যন। নাসার সর্বশেষ প্রকাশিত ছবিতে সেই জায়গাটিকে ‘এস’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। নাসা যা খুঁজে বের করতে পারেনি তা করে দেখিয়েছেন তিনি। কিন্তু কে এই সুব্রহ্মণ্যন? কীভাবে খুঁজে পেলেন তিনি বিক্রমকে?
তাঁর পুরো নাম সন্মুগ সুব্রহ্মণ্যন (Shanmuga Subramanian)। চেন্নাইয়ের (Chennai) বাসিন্দা। ৩৩ বছর বয়স। তিনি কম্পিউটার প্রোগ্রামার ও পেশায় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়র (Engineer)। নাসা বা ইসরোর সদস্যও তিনি নন। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, “আমি অবাক হচ্ছিলাম কেন ইসরো বা নাসা ল্যান্ডার বিক্রমের (Vikram) ধংসাবশেষ খুঁজে পাচ্ছে না। নাসা চাঁদের যে অংশে বিক্রম নেমেছিল সেখানকার অনেক ছবি প্রকাশ করে। আমি দুটো ছবি দুটো ল্যাপটপে পাশাপাশি নিয়ে ভাল করে দেখি। একটা ছবি আগেকার। অন্য ছবিটি চন্দ্রযানের পরের। দুটো ছবি ভাল করে দেখে আমি বুঝতে পারি তাতে কিছুটা ফারাক রয়েছে। যদিও খালি চোখে একবারে সেই ফারাক চোখে পড়ে না। অনেক সময় লেগেছিল আমার। শেষ পর্যন্ত আমি বুঝতে পারি চন্দ্রযানের পরের ছবিতে এমন কিছু জায়গা আছে যেটা আগের ছবিতে নেই। সেই পিক্সেলগুলোকে আমি চিহ্নিত করি।” আরও পড়ুন, নাসার টুইট, চাঁদের বুকে মিলল চন্দ্রযান-২ বিক্রম ল্যান্ডারের ধ্বংসাবশেষ
নাসা তাঁকে কৃতিত্ব (Credit) দিয়েছে এই বিষয়টি তিনি টুইট করেও জানান। গত ৭ সেপ্টেম্বর চাঁদের মাটিতে অবতরণের (সফট ল্যান্ডিং) সময়ে চন্দ্রযান ২ এর অরবিটারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বিক্রম ল্যান্ডারের। চাঁদের মাটি থেকে ২.১ কিলোমিটার উপরে সংকেত পাঠানো বন্ধ হয়ে যায়। এই বিক্রমের মধ্যেই ছিল রোভার প্রজ্ঞাণ। তখনই মনে করা হয়েছিল, চাঁদের বুকে কোথাও মুখ থুবড়ে পড়েছে বিক্রম। যা খুঁজে পাওয়ার চেষ্টায় ছিল নাসাও।