Rahul Gandhi: ইটের বদলে পাটকেল রাহুলের, দিল্লিকে ‘রেপ রাজধানী’ বলায় নরেন্দ্র মোদিকে আগে ক্ষমা চাইতে হবে(দেখুন ভিডিও)
তাঁর ‘রেপ ইন ইন্ডিয়া’ মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে রাজি নন রাহুল গান্ধী। উল্টে নরেন্দ্র মোদিকে তাঁর করা মন্তব্যের জন্য আগে ক্ষমা চাইতে হবে জানিয়ে দিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। ২০১২ সালে নির্ভয়া কাণ্ডের পর দিল্লিকে ‘রেপ রাজধানী’ বলেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যকেই হাতিয়ার করলেন রাহুল। শুক্রবার সংসদে রাহুল ক্ষমা চাইতে বলেন বিজেপি সাংসদরা তবে এই বিতর্কের সূত্রপাত গতকাল ঝাড়খণ্ডে। বিজেপি সাংসদ স্মৃতি ইরানি বলেন, “ঝাড়খণ্ডের একটি সমাবেশে দেশে ক্রমবর্ধমান ধর্ষণ নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন রাহুল।
নতুন দিল্লি, ১৩ ডিসেম্বর: তাঁর ‘রেপ ইন ইন্ডিয়া’ মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে রাজি নন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। উল্টে নরেন্দ্র মোদিকে তাঁর করা মন্তব্যের জন্য আগে ক্ষমা চাইতে হবে জানিয়ে দিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। ২০১২ সালে নির্ভয়া কাণ্ডের পর দিল্লিকে ‘রেপ রাজধানী’ (Rape Capital) বলেছিলেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যকেই হাতিয়ার করলেন রাহুল। শুক্রবার সংসদে রাহুল ক্ষমা চাইতে বলেন বিজেপি সাংসদরা তবে এই বিতর্কের সূত্রপাত গতকাল ঝাড়খণ্ডে। বিজেপি সাংসদ স্মৃতি ইরানি বলেন, “ঝাড়খণ্ডের একটি সমাবেশে দেশে ক্রমবর্ধমান ধর্ষণ নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন রাহুল। দেশের ইতিহাসে এই প্রথম এমন খারাপ কথা শোনা গেল। একজন নেতা বলছেন, ভারতীয় মহিলাদের ধর্ষণ করা উচিত! এজন্য রাহুলের শাস্তি প্রাপ্য।”
মোদীর সেই মন্তব্যের প্রসঙ্গ তুলে ধরেই রাহুলের দাবি, ‘‘উত্তর-পূর্বে আগুন জ্বালানো, দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করা এবং দিল্লিকে দেশের ধর্ষণের রাজধানী বলার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদিরই ক্ষমা চাওয়া উচিত।’’ নির্ভয়া কাণ্ডের পর কটাক্ষ করেছিলেন মোদি, আজ তিনি প্রধানমন্ত্রী। পরে কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা নরেন্দ্র মোদির বক্তব্যের ওই অংশের একটি ভিডিও টুইটও করেন। ঝাড়খণ্ডের সভা প্রসঙ্গে রাহুল বলেন, ‘‘আমি বলেছি, নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ হবে। আমরা ভেবেছিলাম সংবাদপত্রের শিরোনাম হবে শুধু মেক ইন ইন্ডিয়া। কিন্তু সংবাদপত্র খুলুন, শুধু দেখতে পাবেন সর্বত্র রেপ ইন ইন্ডিয়া।’’ আরও পড়ুন-Rahul Gandhi: নিজের মন্তব্যের জন্য সংসদে ক্ষমা চাইলেন না রাহুল, কী বললেন তিনি? (দেখুন ভিডিও)
এদিন সংসদে রাহুলের এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে তুমুল গোল পাকায় বিজেপি সাংসদরা। তুমুল হইহট্টগোলে অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যায়। স্মৃতি ইরানির দাবি, দেশবাসীকে অপমান করেছেন রাহুল। পরে সংসদের বাইরে রাহুল জানান নির্ভয়া কাণ্ডের পর প্রধানমন্ত্রীর ওই মন্তব্যের ভিডিও তাঁর কাছে আছে। তিনি টুইট করবেন, আগে ক্ষমা চাইতে হবে তাঁকে। তারপর বলেন, ‘‘মোদি এবং অমিত শাহ উত্তর-পূর্বে আগুন জ্বালিয়েছেন। সেই ইস্যু থেকে নজর ঘোরাতেই আমাকে এ ভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে।’’