Indian Railways: ১৫০টি ট্রেন, ৫০টি রেলস্টেশন বেসরকারীকরণ করার প্রক্রিয়া শুরু নরেন্দ্র মোদি সরকারের
১৫০টি ট্রেনকে বেসরকারীকরণ করার প্রক্রিয়া শুরু করল নরেন্দ্র মোদি সরকার। পাশাপাশি ৫০টি রেলস্টেশনকেও বেসরকারী হাতে তুলে দেওয়ার জন্য প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু হল। রেল কর্মচারী ইউনিয়নগুলোকর আপত্তি উড়িয়ে দেশের রেলকে আধুনিককরণের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় সরকার এই পদক্ষেপ নিচ্ছে।
নতুন দিল্লি, ১০ অক্টোবর: Privatisation of 150 trains and 50 Railway Stations: ১৫০টি ট্রেনকে বেসরকারীকরণ করার প্রক্রিয়া শুরু করল নরেন্দ্র মোদি সরকার। পাশাপাশি ৫০টি রেলস্টেশনকেও বেসরকারী হাতে তুলে দেওয়ার জন্য প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু হল। দু বছরের মনধ্য়েই ১৫০টি টে্রেনকে পুরোপুরি বেসরকারী হাতে তুলে দেওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। রেল কর্মচারী ইউনিয়নগুলোর আপত্তি উড়িয়ে দেশের রেলকে আধুনিককরণের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় সরকার এই পদক্ষেপ নিচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে ৫০টি রুটকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যে লাইনে ট্রেন চালানোর জন্য বেসরকারি সংস্থাকে অনুমতি দেওয়া হবে। যাত্রীভাড়ায় প্রতি বছর যে ত্রিশ হাজার কোটি টাকা রেলের ক্ষতি হয়, নতুন ব্যবস্থায় তা কমাতে চাইছে রেল। বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে চালানো ট্রেনের ভাড়া ওই রুটের অন্য ট্রেনের চেয়ে বেশি হবে।
মোট ৫০টি রেলস্টেশনকে বেসরকারীকরণ করা নিয়ে নীতি আয়োগের সিইও অমিতাভ কান্ত জানান, রেলমন্ত্রী পীযুষ গোয়েলের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর এই বিষয়টি অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার রেলের এই অংশের বেসরকারীকরণ প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করে, বেশ কয়েকটি বড় প্রজেক্ট রূপায়ণ করতে চাইছে। বেসরকারীকরণ করে রেলকে যে চাঙ্গা করা হচ্ছে সেটা কয়েকটি প্রকল্প রূপায়িত হলেই সবাই বুঝতে পারবেন বলে রেল কর্তারা বলছেন। রেলের বেসরকারীকরমের প্রক্রিয়া নিয়ে আগেই শোনা গিয়েছিল কোনও বেসরকারি সংস্থা যদি বিদেশ থেকে এনে অত্যাধুনিক ট্রেন এনে পরিষেবার মান বাড়াতে চায়, তাহলেও রেলের নীতিগত আপত্তি তুলতে নাও পারে।
সম্প্রতি 'তেজস এক্সপ্রেস' দেশের প্রথম বেসরকারি সংস্থা দ্বারা পরিচালিত ট্রেন রূপে সামনে আসে। দিল্লি এবং লখনৌ এই দুই শহরের মধ্যে চলবে এই ট্রেনটি। ওপেন বিডিং পদ্ধতির মাধ্যমে ভারতীয় রেল এই ট্রেনটিকে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেবে।