Mumbai Terror Attack: মুম্বাই ২৬/১১ হামলার অভিযুক্ত তাহাউর রানাকে ভারতে হস্তান্তরের অনুমতি মার্কিন আদালতের
রানা জানতেন যে তার শৈশবের বন্ধু পাকিস্তানি-আমেরিকান ডেভিড কোলম্যান হেডলি লস্কর-ই-তৈবা-এর সাথে জড়িত এবং হামলা চালানোর জন্য মুম্বাইয়ের অবস্থান এবং ল্যান্ডিং জোনে তাকে সহায়তা করেন
মুম্বাইয়ে ২০০৮ সালের সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাকিস্তানি-কানাডিয়ান ব্যবসায়ী তাহাউর রানাকে ভারতে হস্তান্তরের অনুমতি দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত। পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে ৬২ বছর বয়সী রানার বিরুদ্ধে। লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি সংঘটন মুম্বইয়ে হামলায় ৬০ ঘণ্টার অবরোধে ১৬৪ জনকে হত্যা করে, যার মধ্যে ছয় মার্কিন নাগরিক উপস্থিত ছিলেন। ক্যালিফোর্নিয়ার মার্কিন জেলা আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট বিচারক জ্যাকুলিন চুলজিয়ান মঙ্গলবার ৪৮ পৃষ্ঠার আদালতের আদেশে বলেন, "আদালত অনুরোধের পক্ষে এবং বিপক্ষে জমা দেওয়া সমস্ত নথি পর্যালোচনা ও বিবেচনা করা হয়েছে এবং শুনানিতে উপস্থাপিত যুক্তিগুলি বিবেচনা করা হয়েছে।" ১৯৯৭ সালে দুই দেশের মধ্যে প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী ভারতের অনুরোধে রানাকে আমেরিকায় গ্রেফতার করা হয়। Indian National Guilty in Multi-Million Scam: মার্কিন মুলুকে কোটি কোটি ডলারের কল সেন্টার কেলেঙ্কারিতে দোষী সাব্যস্ত ভারতীয় নাগরিক
২০১১ সালে শিকাগোতে মুম্বাই হামলার পরিকল্পনাকারীকে বস্তুগত সহায়তা দেওয়ার জন্য তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। গত মাসে রানার দেওয়া স্ট্যাটাস কনফারেন্সের প্রস্তাব খারিজ করে দিয়ে মার্কিন আদালত জানায়, ৩০ দিনের মধ্যে ভারতে প্রত্যর্পণের ব্যাপারে রায় আসতে পারে। আদালতে প্রসিকিউটররা যুক্তি দিয়েছিলেন যে রানা জানতেন যে তার শৈশবের বন্ধু পাকিস্তানি-আমেরিকান ডেভিড কোলম্যান হেডলি লস্কর-ই-তৈবা-এর সাথে জড়িত এবং হামলা চালানোর জন্য মুম্বাইয়ের অবস্থান এবং ল্যান্ডিং জোনে তাকে সহায়তা করেন। হেডলির বৈঠকে কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, হামলার পরিকল্পনার পাশাপাশি লক্ষ্যবস্তু নিয়েও ওয়াকিবহাল ছিলেন রানা। তাঁর আইনজীবী প্রত্যর্পণের বিরোধিতা করলেও বিচারক রায় দেন, তাঁর প্রত্যর্পণের জন্য যথেষ্ট উপযুক্ত প্রমাণ রয়েছে।
রানা পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের চিচাওয়াতনিতে জন্মগ্রহণ করেন এবং হাসান আবদালের একটি সামরিক কলেজ থেকে মেডিকেল ডিগ্রি অর্জন করেন। এই কলেজেই হেডলির সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়, যিনি আইএসআই-এর বড় কর্তা হয়ে ওঠেন। পেশায় একজন চিকিৎসক, রানা পাকিস্তান আর্মি মেডিকেল কর্পস-এ ক্যাপ্টেন জেনারেল ডিউটি প্র্যাকটিস করেছিলেন। রানা এবং তার স্ত্রী, যিনিও একজন চিকিৎসক, ১৯৯৭ সালে কানাডায় চলে আসেন এবং ২০০১ সালের জুন মাসে কানাডার নাগরিকত্ব পান। এই দম্পতি মূলত শিকাগোতে বসবাস করতেন এবং একটি ইমিগ্রেশন সার্ভিস এজেন্সি সহ বেশ কয়েকটি ব্যবসার মালিক ছিলেন।