ML Khattar swearing-in ceremony: দ্বিতীয়বার হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আজ দুপুরে শপথগ্রহণ করতে চলেছেন মনোহর লাল খট্টার, উপমুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন দুষন্ত চৌতালা
সব অনিশ্চয়তা সরিয়ে, সংখ্যার খেলায় পাশমার্ক পেয়ে আজ রাজধানী চণ্ডীগড়ে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন মনোহর লাল খট্টর। ভোটে খারাপ ফলের পরেও, বিরোধীরা একেবারে ছত্রভঙ্গ থাকলেও, প্রচারে ঝড় তুলেও নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি-র মনোহর লাল খট্টর। তাঁর মন্ত্রিসভার আটজন হেরে গিয়েছেন।
চণ্ডীগড়, ২৭ অক্টোবর: ML Khattar swearing-in ceremony updates- সব অনিশ্চয়তা সরিয়ে, সংখ্যার খেলায় পাশমার্ক পেয়ে আজ রাজধানী চণ্ডীগড়ে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন মনোহর লাল খট্টর। বিরোধীরা একেবারে ছত্রভঙ্গ থাকলেও, প্রচারে ঝড় তুলেও নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাননি বিজেপি-র মনোহর লাল খট্টর। তাঁর মন্ত্রিসভার আটজন হেরে গিয়েছেন। ববিতা ফোগাত, যোগেশ্বর দত্তদের মত তারকাদের দাঁড় করিয়েও লাভ হয়নি বিজেপির। ৯০ আসনের বিধানসভায় ৪০টি-তে জেতার পর নতুন গঠিত দল জেজেপি-কে সঙ্গে নিয়ে আরও একবার সরকার গড়ছেন মনোহর লাল খট্টর। দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দুপুর ২টোয় শপথ নেবেন মনোহর লাল খট্টর। আর কিংমেকারের ভূমিকা নেওয়া জেজেপি প্রধান দুষন্ত চৌতালা (Dushyant Chautala) উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন।
২০১৪ বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভূপিন্দর সিং হুডার সরকারে হারিয়ে প্রথমবার হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন মনোহর লাল খট্টার। ৯০ আসনের হরিয়ানায় বিধানসভায় বিজেপি জেতে ৪০টি আসন, কংগ্রেস ৩০টি। যেখানে সরকার গড়তে ৪৬জন বিধায়কের সমর্থন দরকার ছিল। আরও পড়ুন-আলোর উৎসবে বিশ্বরেকর্ড, ৩ দিন ধরে উত্তরপ্রদেশে জ্বলবে ৬ লাখ প্রদীপ
মনোহর লাল খট্টরের ডেপুটি হিসেবে কাজ করতে চলেছেন বিজেপি-র অনিল ভিজ এবং সহকারী দল জেজেপি থেকে কেউ। খুব সম্ভবত জেজেপি সভাপতি দুষন্ত চৌতালার মা নয়না চৌতালা উপমুখ্যমন্ত্রী হবেন। এই উপমুখ্যমন্ত্রীর ফর্মুলাতেই জেজেপি-কে বিজেপি কাছে টানে বলে খবর। গতকাল দুপুর পর্যন্ত জেজেপি জানিয়েছিল তারা বিজেপিকে সমর্থন করবে না।
তবে সন্ধ্যা হতেই, অমিত শাহ-র সঙ্গে বৈঠকের পর দুষন্ত চৌতালের সঙ্গে বিজেপি-র বরফ গলে। আর বিজেপি সরকারকে সমর্থনে রাজি হয়ে যান দুষন্ত চৌতালা। দশজন বিধায়ক জেতায় কিং মেকার হয়ে ওঠে জেজেপি। শেষ অবধি কিং মেকার চৌতালা বিজেপিকেই কিং বানালেন। শেষ পর্যন্ত 'অল ইজ ওয়েল'-ই হল বিজেপি (BJP)-র। হরিয়ানার ভোটগণনার পর যেমনটা মনে করা হয়েছিল সেই হিসেব মিলেই আরও একবার বিজেপির 'ম্যানেজ' রাজনীতির জয় হল। হরিয়ানায় নিরঙ্কুশ সংখ্য়াগরিষ্ঠতা না পেলেও একক বৃহত্তম দল হয়ে ছোট দল, নির্দলদের নিজেদের পক্ষে এনে আরও একবার বাজিমাত করল দেশের শাসক দল।
যেমনটা ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ক্ষমতায় আসার পর নানা সময় দেখা গিয়েছে। গতকাল রাতে দলের সভাপতি জেডি নাড্ডা (JP Nadda) , হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টার (Manohar Lal Khattar), আর জেজেপি-র প্রধান দুষন্ত চৌতালা ( Dushyant Chautala)-কে নিয়ে ভিকট্রি ল্যাপ দিচ্ছেন অমিত শাহ (Amit Shah)।
৯০ আসনের হরিয়ানায় ৪০টি আসন জেতার পর কিং মেকারের ভূমিকায় থাকা ১০জন বিধায়ক থাকা জেজেপি-র সমর্থন আদায় করে সরকার গড়ার দাবিপত্র নিয়ে রাজ্যপাল সত্যদেব নারায়ণের (Satyadev Narayan Arya) কাছে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর। একেবারে নতুন দল জেজেপি-র দশ বিধায়কের সমর্থন থাকায় অনায়াসে সরকার গড়ছেন খাট্টার।