Arvind Kejriwal: 'সিসোদিয়াকে ভারত রত্ন না দিয়ে তাঁর বাড়িতে সিবিআই পাঠানো হচ্ছে', আক্রমণ কেজরির

, গোটা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা সিসোদিয়ার হাতে তুলে দেওয়া উচিত বলেও সোমবার জোরদার সওয়াল করেন কেজরিওয়াল। মণীশ সিসোদিয়াকে ভারত রত্ন সম্মান না দিয়ে, তাঁর বাড়িতে সিবিআই পাঠানো হচ্ছে বলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।

Arvind Kejriwal (Photo Credit: ANI/Twitter)

দিল্লি, ২২ অগাস্ট:  দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে সিবিআইয়ের হানাদারি জোর শোরগোল শোুরু হয়েছে। মণীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসাররা হানা দেওয়ার পর এবার ফের মুখ খুললেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গত ৭০ বছরে কোনও সরকার যা করতে পারেনি, সিসোদিয়া তাই করে দেখিয়েছেন। দিল্লির সরকারি স্কুলগুলি যেভাবে উন্নতি করেছেন মণীশ সিসোদিয়া, তার প্রশংসা করেন কেজরিওয়াল। সরকারি স্কুলগুলির উন্নতির জন্য মণীশ সিসোদিয়াকে ভারত রত্ন সম্মান দেওয়া উচিত বলেও সওয়াল করেন কেজরি। শুধু তাই নয়, গোটা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা সিসোদিয়ার হাতে তুলে দেওয়া উচিত বলেও সোমবার জোরদার সওয়াল করেন কেজরিওয়াল। মণীশ সিসোদিয়াকে ভারত রত্ন সম্মান না দিয়ে, তাঁর বাড়িতে সিবিআই পাঠানো হচ্ছে বলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।

 

এদিকে মণীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে সিবিআই হানা দিলেও, তিনি কোনও কিছুতেই 'দুর্নীতিগ্রস্থ' সরকারের সামনে মাথা নোয়াবেন না। এমনই মন্তব্য করেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী। মণীশ সিসোদিয়া বলেন, তিনি রাজপুত। মহারাণা প্রতাপের বংশধর। তাই মাথা কাটিয়ে ফেলতে ভয় নেই, কিন্তু কারও সামনে মাথা নোয়াবেন না। তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা সব মিথ্যে। যাঁর যা ইচ্ছে, তিনি করে নিতে পারেন বলেও কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমমণ করেন মণীশ।

আরও পড়ুন: Manish Sisodia: 'আমি রাজপুত, মাথা নোয়াব না' বলতেই খ্রিস্টান, দলিত, ব্রাক্ষ্মণদের নিয়ে সিসোদিয়াকে খোঁচা বিবেকের

মণীশ সিসোদিয়ার ওই মন্তব্যের পর তাঁকে পালটা কটাক্ষ করেন বিবেক অগ্নিহোত্রী। 'কাশ্মীর ফাইলসের' পরিচালক বলেন, মণীশ সিসোদিয়া এসব কী বলছেন? মণীশ সিসোদিয়া রাজপুত বলে মাথা নোয়াবেন না তাহলে কি অন্য জাতের মানুষ নিজের মাথা কাটিয়ে ফেলেন বলে প্রশ্ন তোলেন বিবেক। সবকিছু মিলিয়ে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে সিবিআই হানার পর থেকেই রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।