Rape: ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটে যোগাযোগ করে ১২ জন মহিলাকে ধর্ষণ করা হ্যাকার পুলিশের জালে

বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটে নিজের অনেকগুলো ভুয়ো প্রোফাইল করেছিল মুম্বইয়ের ৩৭ বছরের আইটি কর্মী। ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটে সেই প্রোফাইলের মাধ্যমে ও মিথ্যা পরিচয় দিয়ে মহিলাদের সঙ্গে পরিচয় করত। তারপর দেখা করার নামে ধর্ষণ করতে সে।

Image used for representational purpose | (Photo Credits: PTI)

নবি মুম্বই, ৮ জুন: বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটে (matrimonial sites) নিজের অনেকগুলো ভুয়ো প্রোফাইল (Fake profile) করেছিল মুম্বইয়ের ৩৭ বছরের আইটি কর্মী। ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটে সেই প্রোফাইলের মাধ্যমে ও মিথ্যা পরিচয় দিয়ে মহিলাদের সঙ্গে পরিচয় করত। তারপর দেখা করার নামে ধর্ষণ করতে সে। এইভাবে একে একে ১২জন মহিলার ধর্ষণ (Rape) করে ৩৭ বছরের ওই ব্যক্তি। একের পর অভিযোগ এলেও পুলিশ তাকে ধরতে পারছিল না।

চার মাসে ধরে অপারধ করে পুলিশের সঙ্গে লুকোচুরি খেলার পর নিজেকে মহেশ নাম দেওয়া করণ গুপ্তা সোমবার মালাদ এলাকা থেকে ধরা পড়ে গেল। মেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে এক কোম্পানিতে সে চাকরি করে। অফিস থেকে বাড়িতে ফিরে সে করত এসব কুকর্ম। অফিস ছুটি নিয়ে ডেটিংয়ে যেত। মুম্বইয়ের মালাদ অঞ্চল থেকে গ্রেফতার করা হয় ১২জন মহিলার ধর্ষণের অভিযোগ ওঠা করণের বিরুদ্ধে। বড় ইনস্টিটিউট থেকে পড়াশোনা করেছেন সে। এমনকি মোটা মাইনের বড় কর্পোরেট কোম্পানিতেও কর্মরত ছিলেন তিনি।

পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে ম্যাট্রমোনিয়াল সাইট ছাড়াও নানা ডেটিং সাইটে তার একাধিক ফেক প্রোফাইল ছিল। ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটের মাধ্যমে প্রথমে মহিলাদের ফোন নম্বর করত সে। তারপর ফোনে মিথ্যা কথা বলে পাব বা রেস্তোরাঁয় নিয়ে মহিলাদের সঙ্গে দেখা করত। শুধু ধর্ষণ নয়, ধর্ষণের পর নির্যাতনেরও অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। প্রতিটা অপরাধের জন্য সে আলাদা আলাদা সিম কার্ড ব্যবহার করত। অপরাধ করা হয়ে গেলেই সিম কার্ড ভেঙে ফেলে নতুন সিম মোবাইল সেটে লাগাতো। হ্যাকার হিসেবে এক কোম্পানিতে কাজ করায় তাঁর কম্পিউটার সংক্রান্ত জ্ঞান অনেক। ফলে পুলিশের তাঁকে ধরতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। পুলিশের আশঙ্কা শুধু ১২ জন নন, আরও অনেক মহিলার শ্লীলতাহানি বা ধর্ষণের মত কাজ করে থাকতে পারেন এই ব্যক্তি।