Mamata Banerjee on MPs Suspend: সংসদে ৮ জন সাংসদের সাসপেন্ডের বিরোধিতা করে 'ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই' জারি রাখার প্রতিবাদ জানালেন মমতা ব্যানার্জি
রবিবার কৃষি বিল পাসের আগে সংসদে বিরোধীদের ধুন্ধুমারের ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন সংসদের সভাপতি এম ভেঙ্কাইয়াহ নাইডু (M Venkaiah Naidu)। ধুন্ধুমারের প্রেক্ষিতে 'অপ্রীতিকর আচরণ'-র ব্যাখ্যা দিয়ে ৮ জন সাংসদকে একসপ্তাহের জন্য সংসদ থেকে বরখাস্ত করেন সংসদের ভেঙ্কাইয়াহ নাইডু। এডিএমকে, জেডিইউ ও ওয়াইএসআর কংগ্রেস ছাড়া কৃষি সংস্কারের জোড়া বিলে আর কেউই বিজেপির সমর্থনে ছিল না। ভোটাভুটি হলে বিজেপি সরকারের হেরে যাওয়ার ঝুঁকি ছিল, এই আশঙ্কাই তৈরি হয়েছিল বিজেপি শিবিরে। তাই ধ্বনিভোটের মাধ্যমেই পাস হয়ে যায় জোড়া কৃষি বিল।
নতুন দিল্লি, ২১ সেপ্টেম্বর: রবিবার কৃষি বিল পাসের আগে সংসদে বিরোধীদের ধুন্ধুমারের ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন সংসদের সভাপতি এম ভেঙ্কাইয়াহ নাইডু (M Venkaiah Naidu)। ধুন্ধুমারের প্রেক্ষিতে 'অপ্রীতিকর আচরণ'-র ব্যাখ্যা দিয়ে ৮ জন সাংসদকে একসপ্তাহের জন্য সংসদ থেকে বরখাস্ত করেন সংসদের ভেঙ্কাইয়াহ নাইডু। এডিএমকে, জেডিইউ ও ওয়াইএসআর কংগ্রেস ছাড়া কৃষি সংস্কারের জোড়া বিলে আর কেউই বিজেপির সমর্থনে ছিল না। ভোটাভুটি হলে বিজেপি সরকারের হেরে যাওয়ার ঝুঁকি ছিল, এই আশঙ্কাই তৈরি হয়েছিল বিজেপি শিবিরে। তাই ধ্বনিভোটের মাধ্যমেই পাস হয়ে যায় জোড়া কৃষি বিল।
এই ৮ জন সাংসদদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতানেত্রীরাও। ডেরেক ও ব্রায়েন, দোলা সেন, সঞ্জয় সিং, রাজু সাতভ, কে কে রাগেশ, রিপুন বোরা, সৈয়দ নাজির হুসেন এবং এলামারান করিমকে বরখাস্ত করা হয়। সাংসদদের সাসপেন্ডের তীব্র বিরোধিতা করেন মমতা ব্যানার্জি। তিনি টুইট করে লেখেন,'৮ সাংসদকে সাসপেন্ড করা দুর্ভাগ্যজনক। গোটা সরকারের স্বৈরতান্ত্রিক মানসিকতার পরিচয়। আমরা মাথা নত করব না। এই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই চালাব। সংসদে ও রাস্তায় লড়াই চলবে।' আরও পড়ুন, কৃষিবিল নিয়ে রাজ্যসভায় ধুন্ধুমারকে কেন্দ্র করে ডেরেক ও ব্রায়েন, দোলা সেন সহ ৮ বিরোধী সাংসদ সাসপেন্ড
গতকাল সংসদের ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ সিংয়ের (Harivansh Singh) বিরুদ্ধে অনাস্থাপ্রস্তাব (No Confidence Motion) আনে রাজ্যসভার বিরোধী দলের সাংসদরা। জনতা দল ইউনাইটেডের এই নেতা কিছুদিন আগেই সংসদের ডেপুটি চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হন। কৃষি বিল রাজ্যসভায় পাস হয়ে যাওয়ার পরই বিরোধী সাংসদরা অনাস্থাপ্রস্তাব পেশ করেন।
বিরোধী সংসদ সদস্যদের বিক্ষোভের মধ্যেই ধ্বনি ভোটের ওপর ভিত্তি করে দুটি কৃষি বিল (Firm Bill) রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) পাস হয়ে যায়। সেখানে প্রবল বিরোধিতার মুখে পড়ে মোদি সরকার। ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখায় বিরোধীরা। দেওয়া হয় স্লোগান। উপরাষ্ট্রপতির সামনে কৃষি বিলের কপি ছেঁড়েন বিরোধীরা। অবশেষে দুপুরে অধিবেশন শেষের আগে রাজ্যসভায় ধ্বনিভোটে পাস হয়ে যায় কৃষি বিল।