Mahakaleshwar Temple corridor: আজ মহাকাল করিডরের উদ্বোধন , উদ্বোধনের আগে শিব বন্দনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান (দেখুন ভিডিও)

গত মাসেই শেষ হয়েছে মহাকাল করিডরের প্রথম পর্যায়ের কাজ। এই মুহূর্তে মন্দির চত্বরটি ২.৮২ হেক্টর এলাকা জুড়ে রয়েছে। ২০২৩ সালের মধ্যে তা ২০.২৩ হেক্টরে গিয়ে দাঁড়াবে। প্রথম ধাপে তৈরি হয়েছে প্রায় ৯০০ মিটার লম্বা একটি করিডোর।

গত মাসে মহাকাল করিডরের উদ্বোধনের ঘোষণা করেছিলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান। দু’টি ধাপে করা হয়েছে করিডরের কাজ।  আজ (১১অক্টোবর, মঙ্গলবার) প্রধানমন্ত্রীর হাতে প্রথম পর্যায়ের উদ্বোধনের আয়োজন করা হয়েছে উজ্জয়িনীতে। কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘মহাকাল লোক’। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টায় মহাকালেশ্বর মন্দিরে উপস্থিত হবেন প্রধানমন্ত্রী। দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের মধ্যে একটি হল মহাকালেশ্বর মন্দির। আজকের এই বিশেষ উদ্বোধন নিয়ে টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি লিখেছেন-

'বিশ্বাস ও আধ্যাত্মিকতার পবিত্র শহর উজ্জয়িনী এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে চলেছে। আজ সন্ধ্যায় এখানে জাতির উদ্দেশে মহান ও ঐশ্বরিক #শ্রীমহাকাললোক উৎসর্গ করার সৌভাগ্য হবে। সর্বত্র শিব!'

 

গত মাসেই শেষ হয়েছে মহাকাল করিডরের প্রথম পর্যায়ের কাজ। এই মুহূর্তে মন্দির চত্বরটি ২.৮২ হেক্টর এলাকা জুড়ে রয়েছে। ২০২৩ সালের মধ্যে তা ২০.২৩ হেক্টরে গিয়ে দাঁড়াবে। প্রথম ধাপে তৈরি হয়েছে প্রায় ৯০০ মিটার লম্বা একটি করিডোর। সেখানে থিম-পার্ক, ই-ট্রান্সপোর্ট পরিষেবা, হেরিটেজ মল থেকে শুরু করে অনেক স্থাপত্য থাকবে। মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান শেয়ার করলেন প্রথম পর্যায়ের কাজের ছবি। এবং লিখলেন-

অসাধারণ দৃশ্য! নিরন্তর সাধনা, সম্পূর্ণ নিবেদন, সীমাহীন ধৈর্য, ​​অটল সংকল্প, অপরিমেয় শক্তি এবং অপরাজেয় চেতনার ফলস্বরূপ, আজ উজ্জয়িনী অসাধারণ মহিমায় সিক্ত। এই অপূর্ব #শ্রীমহাকাললোক দেখে সনাতন ধর্মের প্রতি আমাদের বিশ্বাস দৃঢ় হবে। , জয় মহাকাল।।

 

দ্বিতীয় পর্যায়ে মহারাজওয়াড়া স্কুলভবনকে ঐতিহ্যবাহী ধর্মশালায় রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। এ ছাড়া আরও বেশ কিছু পরিকল্পনা রয়েছে সরকারে। যেমন— শিপ্রা নদী ও রুদ্র সাগরের সংযোগস্থল নির্মাণ, হ্রদের সামনের অংশের সৌন্দর্যায়ন, বহুস্তরীয় পার্কিং ব্যবস্থা যেখানে অন্তত সাড়ে তিনশো গাড়ি রাখার জায়গা থাকবে। একটা রেলওয়ে আন্ডারপাস ও রুদ্রসাগরের উপর ২১০ মিটার লম্বা ঝুলন্ত সেতুও বানানোর পরিকল্পনা রয়েছে। সরকারি সূত্রে খবর, রামঘাটের কাছে চোখধাঁধানো ‘লাইট শো’-র ব্যবস্থাও করা হবে। সেই পর্যায়ের কাজ শেষ হতে অবশ্য ২০২৮ সাল পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে।