Lucknow Shocker: অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল, লজ্জায় আত্মহত্যা নাবালিকা কিশোরীর
মেয়েটিকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে হোটেলে নিয়ে যায় অভিযুক্ত কিশোর। যথাসময়ে তার সঙ্গে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করে। ঠিক এ সময় অভিযুক্ত যুবক ওই কিশোরীর অশ্লীল ভিডিও তোলে।
প্রেমিকের কাছে রয়ে গিয়েছিল অন্তরঙ্গ ভিডিও। সেই ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করে প্রেমিক। অবশেষে লোক জানাজানির ভয়ে আজ সকালে লখনৌর সেই অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করে। পুলিশ ১৪ বছর বয়সী অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
এফআইআর অনুসারে, অভিযুক্ত বালক নাবালিকা মেয়েটির সাথে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক করে এবং মোবাইল ফোন থেকে অশ্লীল ভিডিও তৈরি করে। এরপর সেই ভিডিওগুলি ব্যবহার করে কিশোরীকে তার সাথে শারীরিক সম্পর্কের জন্য চাপ দিতেন বলে অভিযোগ।মেয়েটি সোমবার সন্ধ্যায় একটি বিষাক্ত পদার্থ সেবন করে এবং মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বলরামপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, উজিরগঞ্জের গোলাগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা মৃত কিশোরী ওই এলাকার একটি স্কুলের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।সোমবার সে স্কুলে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। পরে দেখা যায় মেয়েটি স্কুলে পৌঁছায়নি।এদিকে, ডালিগঞ্জ ব্রিজের কাছে মেয়েটিকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পায় স্বজনরা।বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর মেয়েটির অবস্থা আরও খারাপ হয়। এরপর আত্মীয়রা তাকে বলরামপুর হাসপাতালে ভর্তি করে সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়।
পুলিশে অভিযোগ জানানোর সময় তার বাবা পুলিশকে বলেছেন যে তার বড় মেয়ে তাদের জানিয়েছিল যে অভিযুক্তের সাথে কিশোরীর সম্পর্ক ছিল। মেয়েটিকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে হোটেলে নিয়ে যায় অভিযুক্ত কিশোর। যথাসময়ে তার সঙ্গে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করে। ঠিক এ সময় অভিযুক্ত যুবক ওই কিশোরীর অশ্লীল ভিডিও তোলে। এরপর অভিযুক্ত প্রায়ই মেয়েটিকে হোটেলে যেতে বাধ্য করত।প্রতিবাদ করলে অভিযুক্তরা ওই কিশোরীর ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করত। অভিযুক্তের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটিং এবং উজিরগঞ্জ থানায় সমস্ত অভিযোগের বিবরণ দিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা।
উজিরগঞ্জ থানার এসএইচও মনোজ মিশ্র বলেছেন নির্যাতিতা মেয়েটির কথিত হয়রানির অভিযোগে আইপিসি ৩০৫ (একটি শিশুর আত্মহত্যার জন্য প্ররোচনা) ধারায় এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে এবং বিষয়টি তদন্তাধীন।