Live-in Relationship-Muslim and Court:বিবাহিত হলে লিভ ইন সম্পর্কের অধিকার দাবি করতে পারবে না ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা, পর্যবেক্ষণে জানাল এলাহাবাদ হাইকোর্ট
মামলার শুনানির সময় হাইকোর্টের বিচারপতি আতাউর রহমান মাসুদি এবং বিচারপতি অজয় কুমার শ্রীবাস্তবের বেঞ্চ জানিয়েছে, একজন ব্যক্তির বৈবাহিক বিষয়টি ‘পার্সোনাল ল’ এবং সাংবিধানিক অধিকার উভয়ের উপর ভিত্তি করেই ব্যাখ্যা করা হয়ে থাকে। তাই ধর্মীয় রীতিনীতিকেও সমান গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
ইসলাম ধর্মাবলম্বী কোনও ব্যক্তি কি লিভ ইন সম্পর্কে থাকার অধিকার দাবি করতে পারেন? এই নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ জানাল এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চ । আদালত স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, মুসলিম ধর্মাবলম্বী কোনও ব্যক্তি বিশেষ করে তিনি বিবাহিত হলে লিভ ইন সম্পর্কের অধিকার দাবি করতে পারেন না। কারণ সেটা মুসলিম আইনের বিরোধী। আদালত বলেছে, মুসলিমরা যে রীতিনীতি অনুসরণ করেন তা তাদের লিভ ইন সম্পর্কে যাওয়ার অধিকার দেয় না।
মহম্মদ সাদাব খান নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ উঠেছিল। সেই মামলা খারিজ করার আর্জি জানিয়ে তিনি হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদনের শুনানিতে এমন মন্তব্য করেছে হাইকোর্ট। মামলা সূত্রে জানা গিয়েছে, আবেদনকারী ব্যক্তি একজন মুসলিম। ইতিমধ্যেই তার এক স্ত্রী রয়েছে এবং ৫ বছরের কন্যা রয়েছে। ওই ব্যক্তি যে মহিলার সঙ্গে লিভ ইন সম্পর্কে থাকার বিষয়টি দাবি করছেন তিনি হলেন হিন্দু। ওই হিন্দু মেয়েটির পরিবারের তরফে আদালতে অপহরণের মামলা করা হয়।
মামলার শুনানির সময় হাইকোর্টের বিচারপতি আতাউর রহমান মাসুদি এবং বিচারপতি অজয় কুমার শ্রীবাস্তবের বেঞ্চ জানিয়েছে, একজন ব্যক্তির বৈবাহিক বিষয়টি ‘পার্সোনাল ল’ এবং সাংবিধানিক অধিকার উভয়ের উপর ভিত্তি করেই ব্যাখ্যা করা হয়ে থাকে। তাই ধর্মীয় রীতিনীতিকেও সমান গুরুত্ব দেওয়া উচিত। আদালত বলেছে, ‘সামাজিক ও ধর্মীয় রীতি নীতি এবং সংবিধান স্বীকৃত আইনগুলির উৎস একই। আমাদের সংবিধানের কাঠামোর মধ্যে প্রথা এবং রীতিগুলি বৈধ আইন হিসেবে স্বীকৃত হলে এই ধরনের আইনগুলি উপযুক্ত ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।’ আরও ব্যাখ্যা দিয়ে আদালতের বক্তব্য, ‘সংবিধানের ২১ অনুচ্ছেদের অধীনে অধিকার তখনই প্রযোজ্য হবে না যখন প্রথা এবং ঐতিহ্য দুই ব্যক্তির মধ্যে এই ধরনের সম্পর্ক নিষিদ্ধ করে।’
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)