Opposition Meeting In Patna: পটনায় ১৮টি দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে শুরু বিরোধীদের মহাবৈঠক, আছেন যারা
২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারাতে দেশের ১৫টি বিরোধী দল এক জায়গায় এল। অনেক জটিলতা, জোটের বাস্তবতা নিয়ে নানা প্রশ্নের মাঝেও নরেন্দ্র মোদী ঝড় রুখতে হাতে হাত ধরার ফর্মুলায় বিহারের পটনায় মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের বাসভবনে মহাবৈঠকে বসলেন দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বিরোধী দলেরা।
পটনা, ২৩ জুন: ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারাতে দেশের ১৮টি বিরোধী দল এক জায়গায় এল। এর আগে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন থেকে সংসদ ভবন বয়কটের মত ইস্যুতে এক জায়গায় এলেও, কখনও ভোটের জন্য এভাবে জোটের লক্ষ্য বৈঠকে বসেননি বিরোধীরা। পটনায় সেই বিরল ছবিই দেখা গেল। 'বিজেপি মুক্ত'ভারত গড়ার লক্ষ্য কাশ্মীর থেকে তামিলনাড়ু, বাঙলা থেকে দিল্লি-র বিজেপি বিরোধী দলেরা এক হল। অনেক জটিলতা, জোটের বাস্তবতা নিয়ে নানা প্রশ্নের মাঝেও নরেন্দ্র মোদী ঝড় রুখতে হাতে হাত ধরার ফর্মুলায় বিহারের পটনায় মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের বাসভবনে মহাবৈঠকে বসলেন দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বিরোধী দলেরা। বিরোধী জোটের মহাবৈঠকে দেখা গেল নানা বিরল ছবি- দিল্লি, পঞ্জাবের রাজনীতির যুযুধান দুই পক্ষ কেজরিওয়ালের সঙ্গে রাহুল গান্ধী, বঙ্গ রাজনীতির সাপে নেউল 'মমতা ও সিপিএম', কাশ্মীরের মসনদের রাজনীতিতে চিরশত্রু ওমর আবদুল্লার পাশে মেহবুবা।
নীতীশের ডাকে বিরোধীদের এই মহাবৈঠককে কংগ্রেস যে ঠিক কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে তা বোঝা গেল রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জন খাড়গের শরীরী ভাষাতেই। বেশ কিছু ইস্যুতে বিরোধী থাকলেও ১৫টি দলের নেতারা একমত বিজেপি কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে অপব্য়বহার করছে, রাজ্যপালদের দিয়ে বিরোধীদের দখলে থাকা রাজ্য সরকারগুলিকে সমস্যায় ফেলা হচ্ছে, ক্ষমতা দখলের জন্য বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করে দল ভাঙানো হচ্ছে।
দেখুন ভিডিয়ো
বিরোধীদের এই মহাবৈঠকের পর ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-র বিরুদ্ধে বিরোধীরা সবাই একমত হয়ে একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী দেবে তা হয়তো হবে না, তবে মোদীর পক্ষে তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফেরা যাতে মসৃণ না হয় তার জন্য এক হয়ে লড়ার অলিখিত প্রতিশ্রুতি থাকছে। বিরোধী দলগুলির মধ্যে আপ-কেই একটু বেসুরে শুনিয়েছে। তবে মণীশ সিসোদিয়ার জেল, দিল্লির প্রশাসনিক ক্ষমতা ইস্য়ুতে কেন্দ্রের অর্ডিন্যান্স নিয়ে বিজেপি-র ওপর কেজরির দল এতটাই ক্ষুব্ধ যে তারা জোটের পথেই পা দিয়ে। এর আগে আপ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী জোটের প্রার্থী যশবন্ত সিনহাকে সমর্থন, নয়া সংসদ ভবন বয়কট করেছিল।
বিরোধী জোটের মহাবৈঠকে যে সব দলের নেতারা উপস্থিত থাকলেন
১) কংগ্রেস: সভাপতি মল্লিকার্জন খাড়গে, রাজ্যসভা সাংসদ কেসি ভেনুগোপাল, রাহুল গান্ধী
২) তৃণমূল: সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, ডেরেক ও'ব্রায়েন
৩) এনসিপি: সভাপতি শরদ পওয়ার, সুপ্রিয়া সুলে, প্রফুল্ল প্যাটেল
৪) শিবসেনা (ইউবিটি): প্রধান উদ্ধভ ঠাকরে, আদিত্য ঠাকরে, সঞ্জয় রাউত
৫) সমাজবাদী পার্টি: প্রধান অখিলেশ যাদব
৬) আম আদমি পার্টি: অরবিন্দ কেজরিওয়াল, ভগবন্ত মান, রাঘব চাড্ডা, সঞ্জয় সিং
৭) সিপিআই (এম): সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি
৮) ডিএমকে : প্রধান এমকে স্ট্যালিন
৯) পিডিপি: মেহবুবা মুফতি
১০) ন্যাশনাল কনফারেন্স: ওমর আবদুল্লা
১১) ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা: হেমন্ত সোরেন
১২) আরজেডি: লালুপ্রসাদ যাদব, তেজস্বী যাদব, মনোজ ঝা
১৩) জেডি (ইউ)- নীতীশ কুমার, লালন সিং
১৪) সিপিআই: ডি রাজা
১৫) সিপিআই (এমএল)- দীপঙ্কর ভট্টাচার্য
মহাবৈঠকে অনপুস্থিত
কেসি আর-এর বিআরএস, রাষ্ট্রীয় লোক দল (আরএলডি)
বৈঠকে ডাকা হয়নি
বিএসপি- মায়াবতীর দলকে।