Kerala Woman Doctor Murder Case: ডাক্তারদের নিরাপত্তা না দিতে পারলে হাসপাতালগুলো বন্ধ করে দিন, মহিলা চিকিৎসক খুনের ঘটনায় কেরল সরকারকে তোপ হাইকোর্টের

রোগীর চিকিৎসা করার সময় তারই হাতে এক মহিলা চিকিৎসক খুনের ঘটনায় কেরল সরকার ও রাজ্য পুলিশকে তীব্র ভর্ৎসনা করল কেরল হাইকোর্ট।

কেরল হাইকোর্ট (Photo Credit: Wikipedia)

তিরুবন্তপুরম: রোগীর চিকিৎসা করার সময় তারই হাতে এক মহিলা চিকিৎসক (woman doctor) খুনের ঘটনায় কেরল সরকার (Kerala government) ও রাজ্য পুলিশকে (State Police) তীব্র ভর্ৎসনা (criticised) করল কেরল হাইকোর্ট (Kerala High Court)। চিকিৎসকদের নিরাপত্তা না দিতে পারলে রাজ্যের হাসপাতালগুলো বন্ধ করে দেওয়ার পরামর্শ দিল বিচারপতি দেভান রামচন্দ্রন (Justice Devan Ramachandran) ও বিচারপতি কৌসের এদাপ্পাগাথের ( Justice Kauser Edappagath) ডিভিশন বেঞ্চ (Division Bench)। পাশাপাশি রাজ্য পুলিশের প্রধানকে বৃহস্পতিবার অনলাইনে আদালতে হাজিরা দিয়ে ওই মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুর বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতেও নির্দেশ দিয়েছে।

বুধবার সকালে কেরলের কোল্লম (Kollam) জেলার কোট্টারাকরা (Kottarakora) শহরের সরকারি হাসপাতালে এক যুবককে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে পুলিশ। ওই যুবক নিজের পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে বচসা এবং হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে আহত হয় বলে অভিযোগ। হাসপাতালে আসার পর সেখানকার একজন মহিলা চিকিৎসক বন্দনা দাস ওই যুবকের পায়ের ক্ষতে ওষুধ লাগিয়ে দিচ্ছিলেন। সেই সময় আচমকা যুবকটি ক্ষেপে উঠে হাতের সামনে যা ছিল তা দিয়ে সবাইয়ের দিকে তেড়ে যায়। কাঁচি ও শল্য চিকিৎসায় ব্যবহৃত হওয়া ছুরি নিয়ে আক্রমণ করে। এর ফলে গুরুতর জখম হন বন্দনা দাস ও একজন পুলিশকর্মী।

সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের তিরুবন্তপুরমের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানেই মৃত্যু হয় মহিলা চিকিৎসক বন্দনা দাসের। এরপরই এই বিষয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে শুনানি করে বিচারপতি দেভান রামচন্দ্রন ও বিচারপতি কৌসের এদাপ্পাগাথের ডিভিশন বেঞ্চ। এই ঘটনার জেরে ইন্ডিয়ান মেডিকাল অ্যাসোসিয়েশনের তরফে কেরলে ২৪ ঘণ্টার বনধ ডাকা হয়েছে।