Karnataka Political Row: বিধায়কদের ইস্তফা নিয়ে সিদ্ধান্ত স্পিকারের ওপরেই ছাড়ল সুপ্রিম কোর্ট, কাল আস্থা ভোটে ভাগ্যপরীক্ষা মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর

কর্নাটকে সিংহাসনের লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। কর্নাটকের বিধায়কদের ইস্তফা নিয়ে সিদ্ধান্ত রাজ্যের বিধানসভার স্পিকারের উপরেই ছাড়ল শীর্ষ আদালত। একই সঙ্গে বিধায়কদের হাজিরায় যে জোর করা যাবে না তাও জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।

কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী। (Photo Credits: IANS)

নয়া দিল্লি, ১৭ জুলাই: কর্নাটকে সিংহাসনের লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। কর্নাটকের বিধায়কদের ইস্তফা নিয়ে সিদ্ধান্ত রাজ্যের বিধানসভার স্পিকারের উপরেই ছাড়ল শীর্ষ আদালত। একই সঙ্গে বিধায়কদের হাজিরায় যে জোর করা যাবে না তাও জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। বুধবার এক রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, স্পিকারকে একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে জোর করা যায় না। পাশাপাশি আস্থা ভোটে বিধায়কদের যোগদানে বাধ্য করা হবে না। বৃহস্পতিবার আস্থা ভোট।

তার আগে সবচেয়ে সবাই কর্নাটকের সিংহাসনের লড়াইয়ে সুপ্রিম কোর্টের যে সিদ্ধান্তটার দিকে তাকিয়ে ছিল তা হল স্পিকারের হাতে ব্যাপারটা ছাড়া হয় কি না। কারণ কংগ্রেস-জেডিএস বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের অভিযোগ ছিল স্পিকার নিরপেক্ষভাবে কাজ করছেন না।

মঙ্গলবার, মামলাটি শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বেঞ্চে মামলাটি উঠেছিল। স্পিকারের দাবি ছিল, ১৬ জন বিধায়কের ইস্তফা খতিয়ে দেখার জন্য তাঁর সময় চাই। কারণ ওই বিধায়করা নিজেদের ইচ্ছামত নাকি কোনও চাপের কাজে নতিস্বীকার করে ইস্তফা দিচ্ছেন সেটা দেখা দরকার। কুমারস্বামীর আইনজীবীর রাজীব ধবনের যুক্তি, বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের ইস্তফার পিছনে আসলে একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্র রয়েছে। তাঁদের সামনে রেখে সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। শীর্ষ আদালত যাতে এঁদের কথায় গুরুত্ব না দেয়, সেই আর্জিও জানান ধবন।কংগ্রেসের দাবি ছিল, বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের দলত্যাগ আইনের আওতায় বিধায়কপদ খারিজ করে ভোটে দাঁড়ানোর অধিকার কেড়ে নেওয়া উচিত। রাজ্যে বিজেপি-র প্রধান নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পা-র অভিযোগ ছিল স্পিকারের বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের ইস্তফা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নেই। সবপক্ষের কথা শুনে আজ এই রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট।

বৃহস্পতিবার আস্থা ভোট। তার আগে, এখন যা পরিস্থিতি তাতে বিক্ষুব্ধদের মত থেকে অন্তত চার-পাঁচজনকে শিবিরে ফিরিয়ে আনতে না পারলে মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর হার নিশ্চিত। তার আগে আগামী কটা ঘণ্টা বেশ গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। কংগ্রেস-জেডিএস জোটের ১৬ জন বিধায়ক ও ২ জন নির্দল বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। ফলে, সংখ্যার বিচারে সঙ্কটে পড়ে গিয়েছে কুমারস্বামীর সরকার।

২২৫ আসনের কর্নাটক বিধানসভায় কংগ্রেস-জেডিএস সরকারের কাছে ১১৮ জন বিধায়কের সমর্থন ছিল। সেখানে বিজেপির কাছে নির্দল সহ ১০৭ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। কিন্তু কংগ্রেস-জেডিএস শিবিরের ১৮ জন বিক্ষুব্ধ বিধায়ক আস্থা ভোটে অংশ না নেন, তাতে মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী-র পক্ষে সংখ্যা ১০০-তে নেমে যাবে। সেক্ষেত্রে ২০৫ জন বিধায়কদের নিয়ে হবে আস্থা ভোট। যেখানে বিজেপির হাতে রয়েছে সরাসরি ১০৫ বিধায়কের সমর্থন। অনেক নাটক অপেক্ষা রয়েছে। সংখ্যার খেলায় কর্নাটকের সিংহাসন একটা পেন্ডুলামের মত দুলছে।