Mid-Day Meal Horror: ফের মিড-ডে মিল আতঙ্ক, হাসপাতালে ভর্তি কর্ণাটকের ৬০ স্কুল পড়ুয়া
মিড-ডে মিল খেয়ে পেটে ব্যথা বমি, একসঙ্গে ৬০ জন স্কুল পড়ুয়াকে ভর্তি করা হল হাসপাতালে। বুধবার সাতসকালে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের চিত্রদূর্গ (Chitradurga) এলাকার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। গত আগস্টে ঠিক একই ঘটনা ঘটেছিল অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) রামকৃষ্ণ মিশন স্কুলে। সেখানে মিড-ডে মিল (Mid-Day Meal) খেয়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি কার হয় ২০ জন পড়ুয়াকে। দুপুরে স্কুলে খাওয়াদাওয়ার সারার পরেই পেটের ব্যথায় ছটফট করতে থাকে খুদে পড়ুয়ার দল।
কর্ণাটক, ৬ নভেম্বর: মিড-ডে মিল খেয়ে পেটে ব্যথা বমি, একসঙ্গে ৬০ জন স্কুল পড়ুয়াকে ভর্তি করা হল হাসপাতালে। বুধবার সাতসকালে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের চিত্রদূর্গ (Chitradurga) এলাকার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। গত আগস্টে ঠিক একই ঘটনা ঘটেছিল অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) রামকৃষ্ণ মিশন স্কুলে। সেখানে মিড-ডে মিল (Mid-Day Meal) খেয়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি কার হয় ২০ জন পড়ুয়াকে। দুপুরে স্কুলে খাওয়াদাওয়ার সারার পরেই পেটের ব্যথায় ছটফট করতে থাকে খুদে পড়ুয়ার দল। প্রথমে দু একজনের এমন উপসর্গ শুরু হতে না হতেই কয়েকজন বমি করতে শুরু করে। বেশ কয়েকজন অজ্ঞান হয়ে যায়। তড়িঘড়ি আক্রান্ত পড়ুয়াদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্কুল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে মুখ না খুললেও অভিভাবকদের দাবি, খাদ্যে বিষক্রিয়া থেকেই এমনটা ঘটেছে। স্কুল পড়ুয়াদের পুষ্টির জন্য মিড-ডে মিল চালু হলেও বিভিন্ন দুর্নীতির কারণে পুষ্টি তো দূর অস্ত আরও বিষ ঢুকছে শিশু শরীরে। সরকার মিড-ডে মিলের খাতে বরাদ্দ বাড়ালেও খাবার হিসেবে শিশুদের সামনে যা আসে তার গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠাটাই স্বাভাবিক। মাস খানেক আগেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শিশুদের মিড-ডে মিলের খাবারে শুধু নুন ভাত, নুন রুটি দেওয়া নিয়ে শোরগোল পড়েছিল। ওড়িশার এক স্কুলে দুপুরে যখন খুদে পড়ুয়ারা ডাল ভাত খাচ্ছে। তখন তাদের সঙ্গে বসে পাত পেড়ে মাংস বাত খেলেন স্কুল পরিদর্শক। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ওঠে সমালোচনার ঝড়। ওই পরিদর্শককে সাসপেন্ডও করা হয়। আরও পড়ুন-Mumbai Shocker: গুলি চালানোর পর চপারের এলোপাথাড়ি কোপ, প্রতিবেশীর ষড়যন্ত্রে খুন যুবক
উল্লেখ্য, দরিদ্র ভারতকে সুগঠিত করার লক্ষ্যে সরকার মিড-ডে মিল প্রক্রিয়া চালু করলেও তার সুফল মিলছে না। আসলে সুফল মেলার আগেই যে উদ্দেশ্যে এই প্রকল্প শুরু হয়েছিল কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল সেই উদ্দেশ্যই সফল হচ্ছে না। দুর্নীতির করাল ছায়া থেকে মুক্তি পাচ্ছে না শিশুদের খাদ্যও।