Omicron: করোনার নয়া প্রজাতি ওমিক্রন কি থাবা বসাল ভারতে? বড় ঘোষণা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
করোনার নয়া প্রজাতি ওমিক্রন নিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে। ডেল্টার চেয়ে অনেক বেশি জিনের গঠন পরিবর্তনে সক্ষম ওমিক্রন থেকে বাঁচতে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে বলে জানানো হয়েছে হু-এর তরফে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওই ঘোষণার পর ভারতের তরফে বিশেষ পদক্ষেপ করা হয়েছে।
দিল্লি, ৩০ নভেম্বর: করোনার (Corona) নয়া প্রজাতি ওমিক্রনে এখনও কেউ ভারতে আক্রান্ত হননি। মঙ্গলবার রাজ্যসভায় এমনই জানান কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ভারতবর্ষে কেউ ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন, এমন খবর মেলেনি এখনও। মনসুখ মান্ডব্যর (Mansukh Mandaviya) ওই দাবিতে কার্যত স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন দেশের মানুষ।
করোনার নয়া প্রজাতি ওমিক্রন নিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে। ডেল্টার চেয়ে অনেক বেশি জিনের গঠন পরিবর্তনে সক্ষম ওমিক্রন থেকে বাঁচতে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে বলে জানানো হয়েছে হু-এর তরফে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওই ঘোষণার পর ভারতের তরফে বিশেষ পদক্ষেপ করা হয়েছে। বিদেশ থেকে এই মুহূর্তে যাঁরা ভারতে প্রবেশ করবেন, বিমানবন্দরেই তাঁদের করোনা পরীক্ষা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। করোনার টিকা নেওয়া থাকলেও, বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের কোভিড পরীক্ষা না করিয়ে ভারতে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে।
ওমিক্রন (Omicron) নিয়ে যেমন দেশের বিমানবন্দরগুলিতে কড়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে, তেমনি মহারাষ্ট্র সরকারও একাধিক পদক্ষেপ শুরু করেছে। মহারাষ্ট্রে ১ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ১৫ ডিসেম্বর থেকে স্কুল শুরু হবে প্রথম শ্রেণি থেকে সপ্তমের পড়ুয়াদের পঠনপাঠন। শুধু তাই নয়, স্কুল খুললেও, যাঁরা সন্তানদেরস্কুলে পাঠাতে চান না, তাঁদের জন্য অনলাইন ক্লাসও চালু থাকবে বলে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ওমিক্রনের থাবা যাতে জটিল না হয়, সেই কারণে মুম্বইতে হাসপাতাল, পর্যাপ্ত আইসিইউ বেড তৈরি রাখা হয়েছে বলে জানান মেয়র কিশোরী পেদনেকর।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: উদ্ভব-পুত্র আদিত্যর সঙ্গে বৈঠক, মুম্বইতে উড়ে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
মুম্বইয়ের পাশাপাশি কর্ণাটকেও (Karnataka) জারি করা হয়েছে সতর্কতা। বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে যে দুই যাত্রী দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এ দেশে প্রবেশ করেন, তাঁদের নমুনা পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছে। ওই দুজনের মধ্যে একজনের শরীরে যে ভাইরাস মিলেছে, তা ডেল্টার চেয়ে কিছুটা পৃথক হলেও, ওমিক্রন কি না, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। এমনই জানান কর্ণাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডক্টর কে সুধাকর। গত ৯ মাস ধরে করোনা আক্রান্তদের শরীরে ডেল্টার (Delta) উপস্থিতি চোখে পড়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে যে দুজন এসেছেন, তাঁরা ওমিক্রনে আক্রান্ত কি না, সে বিষয়ে সরকারিভাবে কোনও কথা তিনি বলতে পারবেন না। আইসিএমআরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে ওই দুজনের শরীরের নমুনা নিয়ে কথা বলতে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক এবং আইসিএমআর এ বিষয়ে রিপোর্ট পেশ করলে, তবেই তাঁরা সব জানতে পারবেন বলে জানান কর্ণাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
সুধাকরের কথায়, দক্ষিণ আফ্রিকা ফেরৎ ৬৭ বছরের প্রৌঢ়ের শরীরে যে ভাইরাস মিলেছে, ডেল্টার চেয়ে তার কিছুটা তফাৎরয়েছে। আইসিএমআর এ বিষয়ে সমস্ত পরীক্ষা নীরিক্ষা শুরু করেছে। আইসিএমআরের রিপোর্ট পাওয়ার পরই তাঁরা এ বিষয়ে সব জানতে পারবেন এবং রাজ্যবাসীকে জানাতে পারবেন বলে জানান কর্ণাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী।