USCIRF Annual Report: ভারতের সংখ্যালঘুরা বিপন্ন, মার্কিন কমিশনের রিপোর্টকে পক্ষপাত দুষ্ট বলে বাতিল বিদেশ মন্ত্রকের

ভারতীয় সংখ্যালঘুরা বিপন্ন। ইউএস কমিশন অন ইন্টান্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম(USCIRF)-এর এই রিপোর্টকে পক্ষপাতদুষ্ট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে বাতিল করল ভারত। বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, মার্কিন কমিশনের ভুল উপস্থাপনা উচ্চস্তরে পৌঁছেছে। ইউএসসিআরআইএফ-এর ভারতে পর্যবেক্ষণ সম্পর্কিত এই বার্ষিক রিপোর্ট আমরা বাতিল করছি। এটি পক্ষপাতদুষ্ট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তবে ভারতের বিরুদ্ধে এমন রিপোর্ট দেওয়া নতুন কিছু নয়। তবে এখন এই ভুল উপস্থাপনার মাত্রা বেড়েই চলেছে। মার্কিন কমিশনের এই রিপোর্টকে বিশেষ পাত্তা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। মার্কিন রিপোর্টে স্পষ্টতই বলা হয়েছে যে, ২০১৯-এ বিপুল ভোটে জিতে সরকার গঠনের পর বিজেপি জাতীয় স্তরে এমন সব নীতি নিচ্ছে, যাতে সংখ্যালঘু বিশেষ করে মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতা বিপন্ন হচ্ছে।

মুসলিমদের প্রতীকী ছবি (Photo Credits: IANS)

নতুন দিল্লি, ২৯ এপ্রিল: ভারতীয় সংখ্যালঘুরা বিপন্ন। ইউএস কমিশন অন ইন্টান্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম(USCIRF)-এর এই রিপোর্টকে পক্ষপাতদুষ্ট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে বাতিল করল ভারত। বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, মার্কিন কমিশনের ভুল উপস্থাপনা উচ্চস্তরে পৌঁছেছে। ইউএসসিআরআইএফ-এর ভারতে পর্যবেক্ষণ সম্পর্কিত এই বার্ষিক রিপোর্ট আমরা বাতিল করছি। এটি পক্ষপাতদুষ্ট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তবে ভারতের বিরুদ্ধে এমন রিপোর্ট দেওয়া নতুন কিছু নয়। তবে এখন এই ভুল উপস্থাপনার মাত্রা বেড়েই চলেছে। মার্কিন কমিশনের এই রিপোর্টকে বিশেষ পাত্তা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। মার্কিন রিপোর্টে স্পষ্টতই বলা হয়েছে যে, ২০১৯-এ বিপুল ভোটে জিতে সরকার গঠনের পর বিজেপি জাতীয় স্তরে এমন সব নীতি নিচ্ছে, যাতে সংখ্যালঘু বিশেষ করে মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতা বিপন্ন হচ্ছে।

ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার হচ্ছে, তাদের হেনস্তা করা হচ্ছে। ২০০৪ সালের পর ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রসঙ্গে ভারত সম্পর্কে এমন নেতিবাচক মন্তব্য করল এই মার্কিন কমিটি। তবে অনেকের মতে, এই মার্কিন কমিটির রিপোর্ট নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির উত্তেজনার কারণ নেই। এই সব অভিযোগ সত্যি বা মিথ্যে কিনা তা পরের কথা। কিন্তু মার্কিন রিপোর্টের ভিত্তিতে ঘরোয়া রাজনীতিতে সরকারকে আক্রমণ বোকামো হবে। কারণ, মনে রাখতে হবে ভারত হল একটি মজবুত গণতন্ত্র। সেখানে কেন্দ্রে বা রাজ্যে কোনও শাসক দল ভুল করলে মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক উপায়েই সরিয়ে দিতে পারে। কিন্তু ঘরোয়া ব্যাপারে বাইরের নাক গলানো বরদাস্ত করা হবে না। আরও পড়ুন-Kedarnath Temple: খুলল কেদারনাথ মন্দির, করোনার থাবায় মিলছে না দর্শনের অনুমতি

ইউএসসিআরআইএফ-এর রিপোর্ট বলছে, ভারত সহ চিন, মায়ানমার, পাকিস্তান, এরিট্রিয়া, ইরান, নাইজিরিয়া, উত্তর কোরিয়া, সৌদি আরব, সিরিয়া, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান এবং ভিয়েতনামে ধর্মীয় স্বাধীনতার পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনের ব্যাপারে যে ধরনের ঘটনা ঘটছে তা দেখেও সরকার কখনও চুপ করে রয়েছে, কিংবা সরকারই সে সব ঘটনায় জড়িয়ে যাচ্ছে। সমালোচিত হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ভূমিকাও। ভিনদেশি অনুপ্রবেশকারী শ্রমিকদের তিনি যে উঁইপোকা বলেছেন। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছিলেন, যাঁরা নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করছেন তাঁদের বিরিয়ানি নয় বুলেট খেতে হবে। সেই মন্তব্যের সমালোচনা করা হয়েছে রিপোর্টে। বাদ যায়নি দিল্লির হিংসাও।