লাদাখ সীমান্তে ভারতও চিনা সেনার মধ্যে হাতাহাতি, সামাল দিলেন সেনা কর্তারা
কাশ্মীর প্রশ্নে পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারতকে বিপাকে ফেলার চেষ্টায় চিন। বুধবারই তার নমুন দেখল লাদাখের প্যাংগং লেক। গতকাল বিকেলে সেখানেই লাদাখে ভারতীয় সেনা এবং চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি সেনা জওয়ানদের মধ্যে হাতাহাতি বেঁধে গেল। শেষপর্যন্ত দুপক্ষের সেনাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়েছে বলে দিল্লি সূত্রের খবর।
দিল্লি, ১২ সেপ্টেম্বর: কাশ্মীর প্রশ্নে পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারতকে বিপাকে ফেলার চেষ্টায় চিন। বুধবারই তার নমুন দেখল লাদাখের (Ladakh) প্যাংগং লেক। গতকাল বিকেলে সেখানেই লাদাখে ভারতীয় সেনা (Indian Army) এবং চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি সেনা জওয়ানদের (Chinese Army) মধ্যে হাতাহাতি বেঁধে গেল। শেষপর্যন্ত দুপক্ষের সেনাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়েছে বলে দিল্লি সূত্রের খবর। গতকাল বিকেলে ভারতীয় সেনা জওয়ানরা যখন সেখানে টহলদারি চালাচ্ছিলেন। সেই সময় আপত্তি করে চিনা সেনা। প্রথমে তর্কাতর্কি, তার পর হাতাহাতি বেঁধে যায়। খবর পেয়ে সেখানে দ্রুত আরও সেনা পাঠানো হয় কাছেই ভারতীয় সেনা ছাউনি থেকে। একই ভাবে সেখানে সেনা মোতায়েন বাড়িয়ে দেয় চিনও।
উল্লেখ্য, লাদাখের প্যাঙ্গং লেক ( Pangong lake) ভুবন বিখ্যাত। তার উত্তরের ১৩৪ কিলোমিটার দীর্ঘ তীরবর্তী এলাকার দুই তৃতীয়াংশই চিনের দখলে রয়েছে। ভারতের দখলে রয়েছে এক তৃতীয়াংশ। মাঝে লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (LAC) তথা ভারত-চিন প্রকৃত সীমারেখো। মাঝে মাঝে সেই সীমা রেখা টপকে লাল ফৌজরা ভারতের মাটিতে এসে বীর দর্পে ঘুরে বেড়ায়। এদিকে কাশ্মীর প্রশ্নে পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারতকে সমঝে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল বেজিং। লাভ কিছুই হয়নি, তাতে চিনের জেদ আরও বেড়ে গিয়েছে। এদিকে নয়াদিল্লির কূটনীতিকরা মনে করছেন, সীমান্ত নিয়ে হোক বা কাশ্মীর প্রসঙ্গে- বেজিংয়ের সঙ্গে দ্রুত কোনও নিষ্পত্তির সম্ভাবনা নেই। তা গত তিরিশ বছর ধরেই চলছে। দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের এখন অনেকটা পরিসর জুড়ে রয়েছে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য। যার বহর ক্রমবর্ধমান। তা কেউই নষ্ট করতে চায় না। মোদি-চিনফিং দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেও বাণিজ্যই গুরুত্ব পাবে। আরও পড়ুন-কাশ্মীর প্রসঙ্গে চিন-পাকিস্তানের যৌথ বিবৃতি খারিজ ভারতের
তবে যে যাই বলুক না কেন জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ করার পর থেকে ভারত ও চিনের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরকে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল ঘোষণা করার পর দিনই এর বিরোধিতা করে চিনের বিদেশমন্ত্রক কড়া বার্তা দিয়েছিল। তারপর থেকে এর বিরোধিতা করার জন্য পাকিস্তানকে সমর্থনও জুগিয়ে চলেছে। তাই ছোটখাটো হামলা করে ভারতীয় সেনাকে বেগ দেওয়ার চেষ্টা করছে লালফৌজ।