৩৭০-এর জের, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে খুনের হুমকি দিল জইশ-ই-মহম্মদ, দেশজুড়ে জারি চূড়ান্ত সতর্কতা

কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার বিষয়টি এবার ভারতর জন্য সত্যি সত্যিই ‘শাঁখের কড়াত হয়ে দাঁড়াল’, যেদিকেই যাচ্ছে সেদিকেই কাটছে। পাক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ এবার খুনের হুমকি দিল। জইশের হিটলিস্টে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ((NSA)) অজিত ডোভাল। অসামরিক বিমান সুরক্ষা দপ্তরে সেই হুমকি চিঠি পৌঁছানোর পরেই চূড়ান্ত সতর্কতা জারি হয়েছে। মূলত জম্মু কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা খর্ব করার প্রতিশোধেই এই খুনের হুমকি তা চিঠিতে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।

নরেন্দ্র মোদি(Photo Credit: PTI)

দিল্লি, ২৫ সেপ্টেম্বর: কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার বিষয়টি এবার ভারতর জন্য সত্যি সত্যিই ‘শাঁখের কড়াত হয়ে দাঁড়াল’, যেদিকেই যাচ্ছে সেদিকেই কাটছে। পাক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ এবার খুনের হুমকি দিল। জইশের হিটলিস্টে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ((NSA)) অজিত ডোভাল। অসামরিক বিমান সুরক্ষা দপ্তরে সেই হুমকি চিঠি পৌঁছানোর পরেই চূড়ান্ত সতর্কতা জারি হয়েছে। মূলত জম্মু কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা খর্ব করার প্রতিশোধেই এই খুনের হুমকি তা চিঠিতে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ভারতের ৩০টি শহরে হামলারও হুমকি দিয়েছে জইশ-ই-মহম্মদ। এর মধ্যে জম্মু, পাঠানকোট, অমৃতসর, জয়পুর ও গান্ধীনগরের নামও রয়েছে।

সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের রিপোর্ট অনুযায়ী দেশের চারটি প্রধান বিমানবন্দরেও হামলা চালানোর ছক কষেছে জইশ জঙ্গিরা। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Prime Minister Narendra Modi) খুনের জন্য বিশেষ একটি দলও তৈরি করা হয়েছে। বলা বাহুল্য, মাস কানেক আগেই জানা গিয়েছিল হাফিজ সইদের তত্ত্বাবধানে জঙ্গি সংগঠন লস্কর-এ-তৈবা প্রধানমন্তdরী নরেন্দ্র মোদির লোকসভা কেন্দ্র বারাণসীতে হামলার পরিকল্পনা করেছে। গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, দেশের মূল বায়ুসেনা বেস গুলিতেও হামলা চালাতে তৈরি জঙ্গি দল। জম্মু ও কাশ্মীরের বায়ুসেনা ঘাঁটিগুলিতে আত্মঘাতী হামলা চালাতে পারে জইশ-ই-মহম্মদ (Jaish-e-Mohammed), এমন তথ্য গোয়েন্দাদের কাছে রয়েছে। এরপরেই শ্রীনগর, অবন্তীপুরা, জম্মু, পাঠানকোট ও হিন্দোন বায়ুসেনা ঘাঁটিতে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি হয়েছে। এই হুমকির মোকাবিলায় উচ্চপদস্থ সেনা কর্তারা প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরেই বায়ুসেনা ঘাঁটিগুলির নিরাপত্তা পর্যালোচনা করে চলেছেন। গোয়েন্দা সংস্থার তরফে জইশ জঙ্গিদের গতিবিধি নজরে আসার পরেই নিরাপত্তার বিষয়টি আরও কড়াকড়ি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত মে মাসেই জঙ্গিদের কাছ থেকে শ্রীনগর বায়ুসেনা ঘাঁটির (IAF Bases) একটি হাতে আঁকা মানচিত্র সেনাবাহিনীর হাতে চলে আসে। সেই সময় শ্রীনগর ও অবন্তীপুরা বায়ুসেনা ঘাঁটিতে এই রকমই চূড়ান্ত সতর্কতা জারি হয়েছিল। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানি যুদ্ধ বিমানগুলি যখন আকাশসীমা লঙ্ঘন করে তখন সামনে থেকে সেগুলির মোকাবিলা করেছিল শ্রীনগর বায়ুসেনা ঘাঁটি।



@endif