Hyderabad: ছেলের মৃতদেহের সঙ্গে চারদিন ধরে ঘরবন্দি অন্ধ বাবা-মা, দুর্গন্ধে টনক নড়ল প্রতিবেশীদের

পুলিশ এসে বাড়ির দরজা ভেঙে দেখে বিছানায় পড়ে রয়েছে অন্ধ দম্পতির ছেলের দেহ। প্রায় অচৈতন্য অবস্থায় ঘরের ভিতরে ছিলেন স্বামী-স্ত্রী। পুলিশের অনুমান, চার-পাঁচ দিন আগেই মারা গিয়েছে তাঁদের ছেলে।

Hyderabad blind parents stay with son’s body for 4 days (Photo Credits: X)

হায়দরাবাদ, ২৯ অক্টোবরঃ ছেলে মারা গিয়েছে চার-পাঁচ দিন আগে। অথচ অন্ধ বাবা-মা তা জানতেই পারেননি। ছেলের মৃতদেহের সঙ্গেই বাড়িতে চার দিন ধরে ছিলেন ওই বৃদ্ধ দম্পতি। পুলিশ এসে উদ্ধার করে বছর তিরিশের যুবকের পচন ধরা দেহ। হায়দরাবাদের (Hyderabad) নাগোল থানা এলাকার ব্লাইন্ডস কলোনির ঘটনায় শোরগোল পড়েছে।

এক স্থানীয় সূত্রে খবর, ষাটোর্ধ দম্পতি দুজনেই চোখে দেখেন না। দুই ছেলে রয়েছে তাঁদের। ছোট ছেলের সঙ্গে ব্লাইন্ডস কলোনিতে থাকতেন তাঁরা। বড় ছেলে শহরেরই অন্য প্রান্তে থাকেন। কয়েকদিন ধরেই বৃদ্ধ দম্পতির ছেলেকে পাড়ায় দেখা যায়নি। এদিকে সোমবার গোটা পাড়ায় এক অদ্ভুত দুর্গন্ধ ছড়ায়। বিকট গন্ধের তীব্রতায় যেন টেঁকে দায়। গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়েই মেলে বৃদ্ধ দম্পতির বাড়ি। যা ছিল ভিতর থেকে বন্ধ। বহু ডাকাডাকিতেও কেউ দরজা খোলেনি, সাড়া করেনি। এরপরেই পুলিশকে খবর দেয় প্রতিবেশীরা।

সোমবার পুলিশ এসে বাড়ির দরজা ভেঙে দেখে বিছানায় পড়ে রয়েছে অন্ধ (Blind) দম্পতির ছেলের দেহ। প্রায় অচৈতন্য অবস্থায় ঘরের ভিতরে ছিলেন স্বামী-স্ত্রী। পুলিশের অনুমান, চার-পাঁচ দিন আগেই মারা গিয়েছে তাঁদের ছেলে। ঘুমের মধ্যেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। তবে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের (Post-Mortem) জন্যে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে যুবকের মৃত্যুর আসল কারণ স্পষ্ট হবে। পুলিশ জানাচ্ছে, অন্ধ-বৃদ্ধ দম্পতিকে ঘর থেকে বাইরে বার করে এনে জল, খাবার দেওয়া হয়েছে। তাঁদের বড় ছেলেকে ঘটনাটি জানানো হয়েছে। ছেলের হাতেই বৃদ্ধ প্রতিবন্ধী বাবা-মায়ের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে।

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now

Share Now