Hijab Row: 'শিক্ষা প্রয়োজনীয় কিন্তু হিজাব আরও গুরুত্বপূর্ণ আমাদের কাছে', বিক্ষোভ কর্ণাটকের কোডাগুতে
সম্প্রতি কর্ণাটকের উদুপির মাণ্ড্য পি ইউ কলেজে হিজাব নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। হিজাব পরে কেউ কলেজে এলে, সেখানে একদল ছাত্র গেরুয়া উত্তরীয় পরে হাজির হন। হিজাব পরলে, তাঁরাও গেরুয়া উত্তরীয় পরবেন বলে দাবি জানান। এরপর কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে দুই ধর্মীয় সম্প্রদায়ের পড়ুয়াদের পৃথক পৃথক ক্লাসে বসার নির্দেশ দেন। এরপরও বিতর্ক থামেনি উলটে, আদালতে পৌঁছয় হিজাব বিতর্ক।
বেঙ্গালুরু, ১৫ ফেব্রুয়ারি: 'শিক্ষা আমাদের কাছে প্রয়োজনীয় কিন্তু হিজাব তার থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।' কর্ণাটকে হিজাব বিতর্ক শুরু হতে এমনই মন্তব্য করলেন কোডাগু জেলার এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, হিজাব (Hijab Row) বিতর্ক মামলায় আদালতের রায় প্রকাশ্যে আসার পরই তিনি তাঁর ভাইজিকে স্কুলে পাঠাবেন। হিজাব ছাড়া এই মূহূর্তে তিনি তাঁর ভাইজিকে স্কুলে (School) পাঠাবেন না বলে স্পষ্ট জানান ওই ব্যক্তি। প্রসঙ্গত, হিজাব বিতর্ক মামলা শুরু হতেই মঙ্গলবার সকাল থেকে কোডাগু জেলার নেল্লিহুদিকেরিতে বেশ কয়েকজন প্রতিবাদ শুরু করেন। স্কুলে হিজাব বন্ধ করা যাবে না। এই দাবিতেই শুরু হয় বিক্ষোভ।
সম্প্রতি কর্ণাটকের (Karnataka) উদুপির মাণ্ড্য পি ইউ কলেজে হিজাব নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। হিজাব পরে কেউ কলেজে এলে, সেখানে একদল ছাত্র গেরুয়া উত্তরীয় পরে হাজির হন। হিজাব পরলে, তাঁরাও গেরুয়া উত্তরীয় পরবেন বলে দাবি জানান। এরপর কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে দুই ধর্মীয় সম্প্রদায়ের পড়ুয়াদের পৃথক পৃথক ক্লাসে বসার নির্দেশ দেন। এরপরও বিতর্ক থামেনি উলটে, আদালতে পৌঁছয় হিজাব বিতর্ক।
কর্ণাটক হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়, এই মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্কুল, কলেজ খোলা যাবে কিন্তু সেখানে কেউ ধর্মীয় পোশাক পরে হাজির হতে পারবেন না। কর্ণাটক হাইকোর্টের রায়ের পর সুপ্রিম কোর্টে জরুরি শুনানির আবেদন করা হয় হিজাব মামলায়। যার জেরে শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) তরফে জানানো হয়, জাতীয়স্তরে কেউ হিজাব বিতর্ক ছড়িয়ে দেবেন না। তাঁরা বিষয়টির উপর নজর রেখেছেন। প্রয়োজন পড়লে হস্তক্ষেপ করবেন বলে জানানো হয়।