নিয়্ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে যখন তখন কাশ্মীরে ঢুকতে পারে আল-বদর জঙ্গিরা, গোয়েন্দা রিপোর্টে জারি চূড়ান্ত সতর্কতা
ফের জঙ্গি অনুপ্রবেশের (possible infiltration) আশঙ্কা, উপত্যকায় ছড়াল উত্তেজনা। পাকিস্তানের আল-বদর বাহিনীর জঙ্গিরা (Al-Badr Terrorists) নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে কাশ্মীরে ঢোকার চেষ্টা করছে। গোয়েন্দাদের কাছে গোপন সূত্রে এই খবর আসা মাত্রাই উপত্যকা জুড়ে সেনাকে সতর্ক করা হল (High alert)। জানা যাচ্ছে, এই আলবদর গোষ্ঠীর সদর দপ্তর পাকিস্তানের খাইবার পাখতুন খাওয়া প্রদেশের মানসেহরায়। সেখানে যাবতীয় প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করে আল-বদরের একটি জঙ্গি দল কাশ্মীরে নাশকতা চালানোর জন্য পুরোপুরি তৈরি হয়ে গিয়েছে। যেকোনও মুহূর্তে তারা সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকে পড়তে পারে জম্মু ও কাশ্মীরে।
শ্রীনগর, ১১ সেপ্টেম্বর: ফের জঙ্গি অনুপ্রবেশের (possible infiltration) আশঙ্কা, উপত্যকায় ছড়াল উত্তেজনা। পাকিস্তানের আল-বদর বাহিনীর জঙ্গিরা (Al-Badr Terrorists) নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে কাশ্মীরে ঢোকার চেষ্টা করছে। গোয়েন্দাদের কাছে গোপন সূত্রে এই খবর আসা মাত্রাই উপত্যকা জুড়ে সেনাকে সতর্ক করা হল (High alert)। জানা যাচ্ছে, এই আলবদর গোষ্ঠীর সদর দপ্তর পাকিস্তানের খাইবার পাখতুন খাওয়া প্রদেশের মানসেহরায়। সেখানে যাবতীয় প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করে আল-বদরের একটি জঙ্গি দল কাশ্মীরে নাশকতা চালানোর জন্য পুরোপুরি তৈরি হয়ে গিয়েছে। যেকোনও মুহূর্তে তারা সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকে পড়তে পারে জম্মু ও কাশ্মীরে। কেননা এই মানসেহরা অঞ্চলটি নিয়্ন্ত্রণ রেখার অদূরেই অবস্থিত। এই আল-বদর হল সেই জঙ্গি গোষ্ঠী যারা উপত্যকার বাসিন্দাদের পুলিশের সঙ্গে যাবতীয় সম্পর্ক রাখতে নিষেধ করেছিল।
পুলিশ কর্তা ও তাঁর পরিবারকে সামাজিক বয়কট করার ডাক দেয় এই আল-বদর জঙ্গি গোষ্ঠী যদি কোনও সাধারণ কাশ্মীরি নিষেধ অমান্য করে পুলিশকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাহলে তাঁর জন্য কটোর শাস্তিরও হুমকি দিয়েছেল আল-বদর। এই মুহূর্তে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের কোটলি ও মুজাফ্ফরাবাদে প্রশিক্ষণ শিবির করেছে আল-বদর। সেখান থেকেই জম্মুও ও কাশ্মীরের উপরে নজর রাখা হচ্ছে। মূলত আত্মঘাতী বিস্ফোরণ, সেনা জওয়ানদের উপরে ফিঁদায়ে হামলা চালিয়ে উত্তেজনা ছড়ানোই এই জঙ্গি গোষ্ঠীর লক্ষ্য। ২০০০ সাল থেকেই উপত্যকায় দারুণভাবে সক্রিয় এই আল-বদর গোষ্ঠী। তবে সীমান্ত সন্ত্রাস নির্মূলে ভারতীয় সেনার লাগাতার অভিযানে প্রায় বিলীন হয়ে গিয়েছিল এই আল-বদর গোষ্ঠী। তবে ফের তারা সক্রিয় হয়েছে। তাদের সাহায্য করতেই পাক সেনা নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সাতটি লঞ্চ প্যাডে জঙ্গি অনুপ্রবেশের ব্যবস্থা করেছে বলে খবর। এরমধ্যে সব থেকে বেশি জঙ্গে উপত্যকার গুরেজ সেক্টর দিয়ে এপারে প্রবেশ করবে বলে জানা গিয়েছে। আরও পড়ুন-নেই তাজিয়া রাজপথে কোনও মানুষের দেখা নেই, থমথমে কাশ্মীরে এ এক অন্য মহরম
গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী গুরেজ সেক্টরের কাছে ৮০জন জঙ্গি ক্যাম্পিং করছে। ৬০ জন জঙ্গি রয়েছে মাচালে, ৫০ জন কারনাথে, ৪০ জন কেরান সেক্টরে, ২০ জন উরি সেক্টরে ও ১৫ জন নওগাম ও ১০ জন রামপুরে ঘাঁটি গেড়েছে।