Heatwave Survey In India: ভারতের ৯০% এলাকাই তীব্র তাপপ্রবাহে 'বিপজ্জনক অঞ্চল', গরমের দাবদাহে নতুন সমীক্ষা
ভারত এখন 'বহুবিধ, সামগ্রিক জলবায়ু ঝুঁকির মুখোমুখি' এবং গত বছর জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় প্রতিদিনই চরম আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল
ভারতের মোট এলাকার ৯০ শতাংশের বেশি এলাকা 'অত্যন্ত সতর্ক' বা 'বিপজ্জনক অঞ্চলে' রয়েছে। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের রমিত দেবনাথ ও তাঁর সহকর্মীদের করা সমীক্ষা অনুযায়ী, দিল্লি বিশেষ করে তীব্র তাপপ্রবাহের প্রভাবে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (United Nations' Sustainable Development Goals) অর্জনে ভারতের প্রচেষ্টাকে আগে যা ভাবা হয়েছিল, তার চেয়ে বেশি উল্লেখযোগ্যভাবে বাধা দিচ্ছে এই তাপপ্রবাহ। রিপোর্টে বলা হয়েছে, বর্তমান মূল্যায়নের মাত্রা যোগ করলে দেশের ওপর তাপপ্রবাহের প্রভাব পুরোপুরি ধরা না-ও পড়তে পারে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, অত্যধিক গরমের ফলে 'আউটডোর ওয়ার্কিং ক্যাপাসিটি' ১৫ শতাংশ কমে যেতে পারে যা ৪৮ কোটি মানুষের জীবনযাত্রার মান কমিয়ে দিতে পারে এবং জিডিপির ২.৮ শতাংশ আরও এই কারণে খরচ হতে পারে। Gujarat: তীব্র গরমে নাজেহাল চিড়িয়াখানার পশুপাখিরা, স্বাস্থ্যের কথা ভেবে আহমেদাবাদের চিড়িয়াখানায় বসল কুলার ও স্প্রিঙ্কলার (দেখুন ভিডিও)
এছাড়া ১৯৯২ সাল থেকে তাপপ্রবাহের কারণে ২৪,০০০-এরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং উত্তর ভারতে বায়ু দূষণ এবং হিমবাহের দ্রবীভূত গতি বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে একটি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সানস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারত এখন 'বহুবিধ, সামগ্রিক জলবায়ু ঝুঁকির মুখোমুখি' এবং গত বছর জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় প্রতিদিনই চরম আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল। দেশের তাপ সূচকের সঙ্গে জলবায়ু ঝুঁকি সূচকের বিশ্লেষণাত্মক মূল্যায়ন করেছেন গবেষকরা। তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা উভয়কেই বিবেচনায় রেখে মানুষের শরীরে কতটা গরম অনুভূত হয়, তার একটি পরিমাপ হলো হিট ইনডেক্স (HI)। জলবায়ু ঝুঁকি সূচক (CVI) একটি যৌগিক সূচক যা আর্থসামাজিক, জীবিকা এবং বায়োফিজিক্যাল ফ্যাক্টরগুলির জন্য তাপপ্রবাহের প্রভাব অধ্যয়ন করার জন্য বিভিন্ন সূচক ব্যবহার করে।
গবেষণা বলছে, দিল্লির জটিল চলকগুলি যা তাপ-সংশ্লিষ্ট দুর্বলতাগুলি বৃদ্ধি করবে তার মধ্যে রয়েছে বস্তি জনসংখ্যার ঘনত্ব এবং উচ্চ এইচআই অঞ্চলে অতিরিক্ত ভিড়, বিদ্যুতের মতো মৌলিক সুযোগ-সুবিধার অভাব, জল ও স্যানিটেশন, তাৎক্ষণিক স্বাস্থ্যসেবা ও স্বাস্থ্যবীমার সুবিধা না পাওয়া, আবাসনের বেহাল অবস্থা এবং নোংরা রান্নার জ্বালানি (কেরোসিন ও কয়লা) এর কারণ।