Rahul Gandhi: রাহুল গান্ধী কি এখানে চিনকে সমর্থন করতে এসেছেন? খোঁচা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
বুধবার সংসদে ভারতের বিদেশনীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, চিন যা করছে, তা স্পষ্ট। নিজের দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট করেই চিন এসব কাজ করছে ভারতের বিরুদ্ধে। প্রতিবেশী দুই দেশের জন্য ভারতের যে বিদেশনীতি রয়েছে, তাতে চিন এবং পাকিস্তান ক্রমশ পরস্পরের কাছে আসছে। ভারতের বিদেশনীতির জন্যই বিরোধী শক্তিরা পরস্পরের কাছ আসছে বলে অভিযোগ করেন রাহুল গান্ধী।
দিল্লি, ২ ফেব্রুয়ারি: রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) একজন দ্বিধাগ্রস্থ এবং বুদ্ধিহীন নেতা। ভারতের প্রতি চিনের নিজের দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট বলে রাহুল গান্ধীযে মন্তব্য করেন, তার মাধ্যমে প্রশ্ন উঠছে তিনি কি এখানে চিনকে সমর্থন করতে এসেছেন? রাহুলের বিরুদ্ধে এবার এমনই প্রশ্ন তুললেন সংসদ বিষয়কমন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী। সংসদের অধিবেশনের পর কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে এভাবেই কটাক্ষ করেন প্রহ্লাদ যোশী।কংগ্রেসের জন্যই তিব্বত সমস্যা বর্তমান বলেও কংগ্রেস আক্রমণ করেন প্রহ্লাদ যোশী।
বুধবার সংসদে ভারতের (India) বিদেশনীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, চিন যা করছে, তা স্পষ্ট। নিজের দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট করেই চিন এসব কাজ করছে ভারতের বিরুদ্ধে। প্রতিবেশী দুই দেশের জন্য ভারতের যে বিদেশনীতি রয়েছে, তাতে চিন (China) এবং পাকিস্তান ক্রমশ পরস্পরের কাছে আসছে। ভারতের বিদেশনীতির জন্যই বিরোধী শক্তিরা পরস্পরের কাছ আসছে বলে অভিযোগ করেন রাহুল গান্ধী। ভারতের বর্তমান বিদেশনীতির মাধ্যমে যা হচ্ছে, তা ভারতের মানুষের স্বার্থ বিরোধী বলেও মন্তব্য করেন কংগ্রেস নেতা। সংসদে রাহুল গান্ধীর ওই মন্তব্যের পর তাঁকে পালটা কটাক্ষ করেন প্রহ্লাদ যোশী।
গত ১৮ জানুয়ারি অরুণাচল প্রদেশ (Arunachal Pradesh) থেকে মিরাম তারণ (Miram Taron) নামে এক কিশোরকে অপহরণ করে চিনা সেনা। ১৮ জানুয়ারি মিরাম তারণের অপহরণের পর ২৭ তারিখে তাকে মুক্ত করা হয়। মিরাম তারণের অপহরণের পর তার উপর অত্যাচার চালানো হয়। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করা হয়। দেওয়া হয় বৈদ্যুতিন শক। মিরাম চিনা সেনার কবল থেকে মুক্ত হওয়ার পর প্রথমে এমন দাবি করেন তার বাবা। পরে সেই একই দাবি আবার করেন অরুণাচল প্রদেশের পূর্বের সাংসদ তাপির গাও। যা নিয়ে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠতে শুরু করেছে ভারত, চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। এবার মিরাম তারণের নাম উল্লেখ না করেই সংসদে কেন্দ্রের বৈদেশিক নীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাহুল গান্ধী।