Ghatkopar Hoarding Collapsed Case: প্রকৃতির কারণেই হোডিং দুর্ঘটনা ঘটেছে! জামিনে ছাড়া পেলেন ঘাটকোপার কাণ্ডের ইঞ্জিনিয়র
গত ১৩ মে মুম্বইয়ের ঘাটকোপারে প্রবল ঝড়ে ভেঙে পড়েছিল ১০০ ফুট উচ্চতার বিজ্ঞাপনের বোর্ড। আর তাতে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় কমপক্ষে ১৭ জনের।
গত ১৩ মে মুম্বইয়ের ঘাটকোপারে (Ghatkopar) প্রবল ঝড়ে ভেঙে পড়েছিল ১০০ ফুট উচ্চতার বিজ্ঞাপনের বোর্ড। আর তাতে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় কমপক্ষে ১৭ জনের। এই ঘটনা নিয়ে মাসদুয়েক আগে বেশ বিতর্ক শুরু হয়েছিল। যারফলে গ্রেফতার হয় এই বিলবোর্ডের মালিক ও ইঞ্জিনিয়র। তবে গত বৃহস্পতিবার এই মামলায় জামিনে ছাড়া পান ইঞ্জিনিয়র মনোজ রামকৃষ্ণ সাঙ্গু। সূত্রের খবর, এদিন শুনানি চলাকালিন মনোজ বারংবার দাবি করেন যে এই ঘটনায় তাঁর কোনও দোষ নেই বরং প্রকৃতির কারণেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। ৪৭ বছর বয়সী সাঙ্গু দাবি করেন যে তাঁকে মিথ্যাভাবে ফাঁসানো হয়েছে। তিনি অনৈতিকভাবে ওই বিলবোর্ডের কাঠামোটি ডিজাইন করেননি।
সাঙ্গু প্রায় দেড়মাসের বেশি সময় ধরে জেলবন্দি ছিলেন। আর বিনা কারণে জেলবন্দি থাকার জন্য তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এই দাবি নিয়ে জামিনের আবেদন করেছিলেন তাঁর আইনজীবী ডিএস মানেকার। এই নিয়ে বিচরপতি ভিএম পাথাডের বেঞ্চ বলেন, মনোজ রামকৃষ্ণ সাঙ্গু এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত নয়। আর এতদিন জেলবন্দি রেখে তাঁকে প্রয়োজন অনুযায়ী জেরা করা হয়েছে। পরবর্তীকালে তাঁকে যদি জেরা করতে হয় তাহলে তাঁকে ডাকা হতে পারে। কারণ তিনি এখানকারই বাসিন্দা। মামলা চলাকালীন তিনি দেশের বাইরে যাবেন না বলেও নির্দেশ দেয় আদালত।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ মে ঘাটকোপারে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন কমপক্ষে ৫০ জন। এই ঘটনার পর দুইদিন ধরে মৃতদেহ উদ্ধার করে উদ্ধারকারী দল। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায় রেলের জমিতে অবৈধভাবে এই বিলবোর্ড করেছিলেন ব্যবসায়ী ভাবেশ ভিন্ডে। ঘটনার পর ১৯ জুলাই তাঁকে গ্রেফতার করে মুম্বই পুলিশ।