Karnataka Shocker: মুসলিম ফল বিক্রেতার দোকান ভেঙে শ্রীঘরে গেল ৪ রাম সৈনিক, রাজ্যজুড়ে নিন্দার ঝড়

মুসলিম ফল বিক্রেতার দোকানে (Muslim Fruit Vendor) ভাঙচুরে জড়িত থাকার কারণে চারজনকে গ্রেপ্তার করল কর্ণাটকের ধারওয়াদ গ্রামীণ থানার পুলিশ। ধৃতরা হল চিদানন্দ কালাল, কুমার কাট্টিমনি, মায়লারাপ্পা গুড্ডাপ্পানাভার এবং মহালিঙ্গা আইগালি।

The Muslim vendor whose fruit shop was vandalised. Credits: Twitter/ IANS

ধারওয়াদ (কর্ণাটক), ১১ এপ্রিল:  মুসলিম ফল বিক্রেতার দোকানে (Muslim Fruit Vendor) ভাঙচুরে জড়িত থাকার কারণে চারজনকে গ্রেপ্তার করল কর্ণাটকের ধারওয়াদ গ্রামীণ থানার পুলিশ। ধৃতরা হল চিদানন্দ কালাল, কুমার কাট্টিমনি, মায়লারাপ্পা গুড্ডাপ্পানাভার এবং মহালিঙ্গা আইগালি। ভাঙচুরের অভিযোগে থানায় এফআইআর দায়ের করেছিলেন ফল বিক্রেতা নবিসাব। তারপরেই অভিযুক্তদের হাজতে ঢোকায় পুলিশ। এছাড়া ধারওয়াদ গ্রামীণ পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, বেআইনি সমাবেশ, দাঙ্গা এবং ইচ্ছাকৃতভাবে শান্তি ভঙ্গ করার চেষ্টার অভিযোগে আটজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে।

উল্লেখ্য নাজ্ঞেকেরি হনুমান মন্দির চত্বরে গত ১৫ বছর ধরে রয়েছে নবিসাবের ফলের দোকান। গত শনিবার ৯ এপ্রিল শ্রীরামসেনার কর্মীরাওই মন্দির চত্বরে এসে নবিসাবের দোকানে ভাঙচুর চালায়। সমস্ত ফল নষ্ট করে দেয়। একই সঙ্গে ফল বিক্রেতাকে সাফ জানিয়ে দেয় যে তিনি এখানে আর ব্যবসা করতে পারবেন না। কিছুদিন আগেই কর্ণাটক বিধানসভায় রাজ্যের আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী জেসি মধু স্বামী বলেছিলেন মন্দির চত্বর ও কোনও ধর্মীয় মেলায় অহিন্দুরা ব্যবসা করতে পারবেন না।

তারপর থেকেই কর্ণাটকের সমস্ত ধর্মস্থান থেকে  প্রবলভাবে মুসলিম ব্যবসায়ীদের উৎখাতের দাবি তুলেছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি।  ফল বিক্রেতার দোকান ভাঙচুরের ঘটনায় রাজ্যজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। এই অপ্রীতিকর ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী। ক্ষতিগ্রস্ত ফল বিক্রেতার জন্য আর্থিক সহায়তাও পাঠিয়েছেন তিনি।