Assam Flood: অসমের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি, ২৫টি জেলার অন্তত ১১ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত
অসমের বন্যা (Assam Flood) পরিস্থিতির আরও অবনতি হল। অবিরাম বৃষ্টির কারণে রাজ্যের প্রধান নদীগুলিতে জলের স্তর ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে ভূমিধসের (Landslides) কারণে। ২৫টি জেলার অন্তত ১১ লাখ মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নবগঠিত বাজালি জেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরকারি কর্তারা জানিয়েছেন, ব্রহ্মপুত্র (Brahmaputra) ও গৌরাঙ্গ (Gauranga) নদীর জল অনেক এলাকায় বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। বন্যার জলে তলিয়ে গিয়েছে ১৯৭৮২.৮০ হেক্টর ফসলি জমি। রাজ্য সরকারের তথ্য অনুযায়ী, দেড় হাজারের বেশি গ্রাম বর্তমানে জলের নিচে রয়েছে। বন্যাকবলিত জেলাগুলির প্রশাসন সতর্কতা জারি করেছে। জরুরি প্রয়োজন না হলে লোকজনকে তাদের বাড়ির বাইরে না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গুয়াহাটি, ১৭ জুন: অসমের বন্যা (Assam Flood) পরিস্থিতির আরও অবনতি হল। অবিরাম বৃষ্টির কারণে রাজ্যের প্রধান নদীগুলিতে জলের স্তর ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে ভূমিধসের (Landslides) কারণে। ২৫টি জেলার অন্তত ১১ লাখ মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নবগঠিত বাজালি জেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরকারি কর্তারা জানিয়েছেন, ব্রহ্মপুত্র (Brahmaputra) ও গৌরাঙ্গ (Gauranga) নদীর জল অনেক এলাকায় বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। বন্যার জলে তলিয়ে গিয়েছে ১৯৭৮২.৮০ হেক্টর ফসলি জমি। রাজ্য সরকারের তথ্য অনুযায়ী, দেড় হাজারের বেশি গ্রাম বর্তমানে জলের নিচে রয়েছে। বন্যাকবলিত জেলাগুলির প্রশাসন সতর্কতা জারি করেছে। জরুরি প্রয়োজন না হলে লোকজনকে তাদের বাড়ির বাইরে না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজধানী গুয়াহাটির বেশিরভাগ অংশেজল জমেছে। এখানেও বেশ কয়েকটি ভূমিধসের খবর পাওয়া গেছে এবং নুনমতি এলাকার অজন্তানগরে তিনজন আহত হয়েছেন। বক্সা জেলায় অবিরাম বৃষ্টি এবং দিহিং নদীর জলস্তর বৃদ্ধির কারণে সুবানখাটা এলাকায় একটি সেতুর একটি অংশ ধসে পড়ে। নিম্ন আসামের রাঙ্গিয়া বিভাগের নলবাড়ি এবং ঘোগরাপারের মধ্যে রেল লাইনে জল জমার কারণে কমপক্ষে ছটি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। আরও পড়ুন: Tim Sale Dies: প্রয়াত কিংবদন্তী কমিক শিল্পী টিম সেল
অসম ছাড়াও মেঘালয় এবং অরুণাচল প্রদেশেও অতি ভারী বৃষ্টির কারণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়েছে। মেঘালয়ে ভূমিধস, বজ্রপাত ও আকস্মিক বন্যায় অন্তত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। মেঘালয় সরকার রাজ্যের চারটি অঞ্চল দেখার জন্য চারটি কমিটি গঠন করেছে। প্রতিটি কমিটির নেতৃত্বে একজন ক্যাবিনেট মন্ত্রী রয়েছে। জাতীয় সড়কের কয়েকটি অংশে ধস নামায় ভারী যানবাহনের জন্য বন্ধ রয়েছে। বুধবার পর্যন্ত অসম এবং মেঘালয়ে স্বাভাবিকের চেয়ে ২৭২ মিমি অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে।