Fake Notice Going Viral: ১৪ ফেব্রুয়ারির আগে জোগাড় করতে হবে প্রেমিক, জাল ভাইরাল নোটিশে হুলস্থুল ওড়িশার কলেজে
আপনার স্কুল বা কলেজ কলেজে প্রবেশ করার জন্য এবং ক্লাসে যোগ দেওয়ার জন্য ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে যদি কর্তৃপক্ষ প্রেমিক বা প্রেমিকা পেতে বাধ্যতামূলক করে তোলে তাহলে অনুভূতিটা কেমন হবে?
মনে করুন আপনার স্কুল বা কলেজ কলেজে প্রবেশ করার জন্য এবং ক্লাসে যোগ দেওয়ার জন্য ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে যদি কর্তৃপক্ষ প্রেমিক বা প্রেমিকা পেতে বাধ্যতামূলক করে তোলে তাহলে অনুভূতিটা কেমন হবে? ওডিশার জগৎসিংহপুরের এসভিএম স্বায়ত্তশাসিত কলেজে ঠিক এটিই ঘটেছে। যেখানে নোটিশ বোর্ডের একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে যে কলেজের প্রিন্সিপাল তার কলেজের ছাত্রীদের ভ্যালেন্টাইন্স ডে'র আগে তাদের বয়ফ্রেন্ড জোগাড় করার নির্দেশ দিয়েছেন। নোটিশটি মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে তদন্ত করে দেখা গেছে যে নোটিশটি জাল, এবং এমন কোনও আদেশ কলেজ থেকে জারি করা হয়নি।
তবে যে নোটিশটি ভাইরাল হয়েছে তাতে ছাত্রীদের বয়ফ্রেন্ড পেতে "আদেশ" দেওয়া হয়েছিল এবং তাতে অধ্যক্ষের স্বাক্ষরও ছিল। জানা গেছে, ভাইরাল নোটিশে বলা হয়েছিল , ১৪ ফেব্রুয়ারির আগে যদি মেয়েরা নিজের জন্য বয়ফ্রেন্ড নির্বাচন না করে তবে তাদের ক্লাসে উপস্থিত হতে দেওয়া হবে না। শুধু তাই নয় এতে আরো বলা হয়েছিল ক্লাসে উপস্থিত হওয়ার যোগ্য হওয়ার জন্য শুধুমাত্র বয়ফ্রেন্ড পেলে হবে না তাদের যোগ্যতা নিশ্চিত করার জন্য প্রিন্সিপালের অফিসে তাদের বয়ফ্রেন্ডের ছবিও জমা দিতে হবে।
কলেজের ছাত্রী রশ্মিতা বেহেরা বলেন, “আমরা সবাই ভাইরাল নোটিশটি দেখেছি। এই নোটিশ যে জাল তা আমরা বুঝতে পেরেছি। নোটিশটি ভাইরাল করতে এটা করা হয়েছে, যাতে আমাদের কলেজের নাম বদনাম হয়েছে। আমাদের প্রিন্সিপ্যাল একজন ভালো মানুষ এবং আমরা মনে করি না তিনি এমন কাজ করেছেন।”
কলেজের অধ্যক্ষ বিজয় পাত্র এই বিষয়ে একটি এফআইআর দায়ের করেছেন। তিনি তার দ্বারা জারি করা এমন কোনও নোটিশের কথাও অস্বীকার করেছেন।তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান “নোটিশটি আমার দ্বারা জারি করা হয়নি। যে লেটারহেডে ভাইরাল নোটিশ ছাপা হয়েছে তা ভুয়া। এটিতে কলেজের যোগাযোগ নম্বর বা সঠিক ক্রমে নামও নেই।আইন অনুযায়ী অপরাধীর শাস্তির দাবিতে আমি ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছি," বলেও জানান অধ্যক্ষ বিজয় পাত্র