Delhi: অধরা রয়ে গেল আমলা হওয়ার স্বপ্ন, কোচিং সেন্টারে জমা জলে ডুবে শেষ তিন তরুণ তুর্কি

অন্যান্য দিন সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ গ্রন্থাগার বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু এদিন ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে পড়ুয়ারা গ্রন্থাগারেই আটকে পড়ে। তাঁদের সঙ্গে নবীন, শ্রেয়া এবং তানিয়াও ছিল। এরপরেই সেই ভয়ানক দৃশ্য। হু হু করে জলের স্রোত বেসমেন্টের ভিতরে প্রবেশ করে।

Delhi Coaching Centre flooded Died Shreya Yadav and Navin Delvin (Photo Credits: X)

নয়া দিল্লি, ২৮ জুলাইঃ দুচোখ ভরা আমলা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে কেউ উত্তরপ্রপদেশ, কেউ কেরল তো আবার কেউ তেলঙ্গানা থেকে পাড়ি দিয়েছিলেন দিল্লিতে (Delhi)। রাজধানীর নাম করা কোচিং সেন্টার থেকে ইউপিএসসি (UPSC) পরীক্ষার জন্যে প্রস্তুতি নিতে এসেছিলেন তাঁরা। আর সেই কোচিং সেন্টারের মধ্যেই জলে ডুবে মৃত্যু হল নবীন ডালভিন (২৮), তানিয়া সোনি (২৫) এবং শ্রেয়া যাদবের (২৫)। শনিবার দিল্লির রাজেন্দ্র নগরের ঘটনায় উত্তাল রাজধানী শহর। কোচিং সেন্টারের বাইরে রবিবার সকাল থেকে জমায়েত করে বিক্ষোভ দেখায় পড়ুয়ারা। প্রশাসনের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে সরব আন্দোলনকারী ছাত্ররা।

স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার বৃষ্টি মাথায় নিয়েই কোচিংয়ে এসেছিলেন পড়ুয়ারা। রাজেন্দ্র নগরের ওই কোচিং সেন্টারের বেসমেন্টে একটি গ্রন্থাগার রয়েছে। আইএএস পড়ুয়ারা কোচিংয়ের পাশাপাশি ওই গ্রন্থাগারে গিয়েও ঘণ্টার পর ঘণ্টা পড়াশুনা করতেন। অন্যান্য দিন সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ গ্রন্থাগার বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু এদিন ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে পড়ুয়ারা গ্রন্থাগারেই আটকে পড়ে। তাঁদের সঙ্গে নবীন, শ্রেয়া এবং তানিয়াও ছিল। এরপরেই সেই ভয়ানক দৃশ্য। হু হু করে জলের স্রোত বেসমেন্টের ভিতরে প্রবেশ করে। কয়েকজন পড়ুয়া কোনমতে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন। বাইরে এসে তাঁরা খবর দেন পুলিশে। পুলিশ এবং উদ্ধারকারী দল মিলে কয়েকজন পড়ুয়াকে বের করে আনে। ততক্ষণে জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে শ্রেয়া এবং তানিয়ার। পরে উদ্ধার হয় নবীনের দেহ।

দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি (PHD) করতে কেরল থেকে দিল্লি এসেছিলেন নবীন। তবে তাঁর স্বপ্ন ছিল আমলা হওয়ার। সেই লক্ষ্যে পিএইচডি-র পাশাপাশি ইউপিএসসি-র প্রস্তুতি নেওয়ার জন্যে ভর্তি হয়েছিলেন রাজেন্দ্র নগরের ওই নামকরা কোচিং সেন্টারে।

উত্তরপ্রদেশের আম্বেডকর নগরের বাসিন্দা শ্রেয়া আইএএস হতে এসেছিলেন দিল্লিতে। জুলাইতেই তিনি ওই কোচিং সেন্টারে ভর্তি হন। তেলঙ্গানার তানিয়া মাস কয়েক আগেই দিল্লি আসেন ইউপিএসসি-র কোচিং নেওয়ার জন্যে। ওই কোচিং সেন্টারেই ডুবে শেষ হয় তিন পড়ুয়ার স্বপ্ন এবং জীবন। ইতিমধ্যেই দিল্লি পুলিশ গ্রেফতার করেছে ওই কোচিং সেন্টারের মালিক অভিষেক গুপ্ত এবং তাঁর এক সহকারী দেশপাল সিংহকে।