Citizenship Amendment Act:দেশজুড়ে চলছে বিক্ষোভ, তার মধ্যে ১০ জানুয়ারি থেকেই কার্যকরী সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (Citizenship Amendment Act) জেরে দেশজুড়ে বিক্ষোভ বিদ্যমান। সরকার বিরোধী আওয়ায় জ্বলছে দেশ। বাদ নেই রাজধানীও। এতকিছুর মাঝেও কিন্তু কোনও বিক্ষোভকেই পাত্তা দিল না কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। গত শুক্রবার ১০ জানুয়ারি সেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকরী হয়ে গিয়েছে। কোনও বিরোধিতার সামনেই যে সরকার পিছু হটবে না, এই ঘটনা তারই প্রমাণ দেয়। গত ১১ ডিসেম্বর নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হয়ে যায়, সংসদের দুই কক্ষেই। এদিন বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সাব সেকশন (২) এবং সেকশন ১ অনুযায়ী সরকার ঘোষণা করছে, ২০২০ সালের ১০ জানুয়ারি থেকে ওই আইন কার্যকরী হল।

অমিত শাহ রাজ্যসভায় সিএএ নিয়ে আলোচনা(Photo Credits: IANS)

নতুন দিল্লি, ১১ জানুয়ারি: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (Citizenship Amendment Act) জেরে দেশজুড়ে বিক্ষোভ বিদ্যমান। সরকার বিরোধী আওয়ায় জ্বলছে দেশ। বাদ নেই রাজধানীও। এতকিছুর মাঝেও কিন্তু কোনও বিক্ষোভকেই পাত্তা দিল না কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। গত শুক্রবার ১০ জানুয়ারি সেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকরী হয়ে গিয়েছে। কোনও বিরোধিতার সামনেই যে সরকার পিছু হটবে না, এই ঘটনা তারই প্রমাণ দেয়। গত ১১ ডিসেম্বর নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হয়ে যায়, সংসদের দুই কক্ষেই। এদিন বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সাব সেকশন (২) এবং সেকশন ১ অনুযায়ী সরকার ঘোষণা করছে, ২০২০ সালের ১০ জানুয়ারি থেকে ওই আইন কার্যকরী হল।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে ছ’টি সম্প্রদায়ের মানুষ ধর্মীয় কারণে নিপীড়িত হয়ে ভারতে চলে এলে তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এই ছ’টি সম্প্রদায় হল হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পারসি ও খ্রিস্টান। বিরোধীদের বক্তব্য ধর্মের ভিত্তিতে কাউকে নাগরিকত্ব দেওয়া সংবিধানবিরোধী। অন্যদিকে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে ‘সাংবিধানিক’ ঘোষণার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে ইতিমধ্যেই এক আইনজীবী আবেদন করেছেন। ভদ্রলোকের নাম বিনীত ধান্ডা। কেননা আইনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে শীর্ষ আদালতে ৬০টিরও বেশি আবেদন জমা পড়েছে। এই প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বোবদে বলেন, “দেশ এখন কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই সময় শান্তি প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা উচিত। এই ধরনের আবেদন করে কোনও লাভ নেই।” দেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার ব্যাপারে ধর্মকে ভিত্তি করা নিয়ে এই প্রথম কোনও আইন হয়েছে এবং তার প্রতিবাদে দেশজোড়া বিক্ষোভের মাঝেই এমন মন্তব্য করলেন প্রধান বিচারপতি। আরও পড়ুন-Kannauj Bus Fire: কনৌজে লরির সঙ্গে যাত্রীবাহী বাসের সংঘর্ষে ভয়াবহ আগুন, অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত ২০

আইনজীবীর আবেদনের জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, “সংসদ যে আইন পাশ করছে তাকে আমরা কী ভাবে সাংবিধানিক বলতে পারি? সাংবিধানিক ভাবে গ্রাহ্য কিনা তা নিয়ে বারবারই প্রশ্ন ওঠে। আপনি যদি কখনও আইনের ছাত্র হয়ে থাকেন তা হলে একথা আপনার জানা উচিত।” প্রধান বিচারপতির এই বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি বিআর গাভাই ও বিচারপতি সূর্য কান্ত। বেঞ্চ বলে, “আদালতের কাজ হল কোনও আইন বৈধ কিনা তা নিশ্চিত করা, কোনও আইন সাংবিধানিক কিনা তা ঘোষণা করা নয়।”

 

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now

Share Now