Assam: অশান্তির আগুন জ্বলছে অসমে, গুয়াহাটি বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হল মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালকে
অশান্ত অসম (Assam)। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের (Citizenship Amendment Bill, 2019) বিরোধিতার আগুন জ্বলছে অসমে। অসমের রাজধানী গুয়াহাটিতে (Guwahati) এই বিক্ষোভ বৃহৎ আকার নিয়েছে। অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল (CM Sarbananda Sonowal) আজ বরঝারের লোকপ্রিয় গোপীনাথ বরদলৈ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পৌঁছলে তাঁকে সেখানেই আটকে দেওয়া হয়। তাঁকে নিরাপত্তা বাহিনী উদ্ধার করে।
গুয়াহাটি, ১১ ডিসেম্বর: অশান্ত অসম (Assam)। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের (Citizenship Amendment Bill, 2019) বিরোধিতার আগুন জ্বলছে অসমে। অসমের রাজধানী গুয়াহাটিতে (Guwahati) এই বিক্ষোভ বৃহৎ আকার নিয়েছে। অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল (CM Sarbananda Sonowal) আজ বরঝারের লোকপ্রিয় গোপীনাথ বরদলৈ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পৌঁছলে তাঁকে সেখানেই আটকে দেয় বিক্ষোভকারীরা। নিরাপত্তা বাহিনী উদ্ধার করে তাঁকে।
আজ গোটা রাজ্যজুড়েই সকাল থেকে বিক্ষোভের চেহারা দেখা যাচ্ছে। বিক্ষোভকারীদের পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। জল কামান, লাঠি চার্জ করা হয় বিক্ষোভকারীদের ওপর। একের পর এক গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। নর্থইস্ট স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন (NESO) এবং অল অসম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (AASU) বিক্ষোভে সামিল হয়েছে। রাস্তায় টায়ার পুড়িয়ে, স্লোগানে নানারকমভাবে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তারা। আরও পড়ুন, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের গেরো, অশান্তি এড়াতে ত্রিপুরায় ৪৮ ঘণ্টার জন্য বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা
আসুর (AASU) বিক্ষোভকারীরা মুখ্যমন্ত্রীর ডিব্রুগড়ের বাসভবন ঘেরাও করে রেখেছিল। তাঁর বাড়ির সামনে প্রচুর সংখ্যক বিক্ষোভকারীরা উপস্থিত ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিও করতে থাকে তারা। দুই কলামের সেনাবাহিনী ত্রিপুরায় পাঠানো হয়েছে। অসমেও দুই কলামের সেনা বাহিনী রয়েছে। ত্রিপুরায় নেসোর বিক্ষোভের মুখোমুখি হয় সেনাবাহিনীরা। উত্তেজিত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। সকাল গড়িয়ে সন্ধে হয়ে গেছে। এখনও বিক্ষোভ চলছে উত্তরপূর্ব রাজ্যজুড়ে।
কেন্দ্রীয় সরকার নাগরিক সংশোধনী বিল পাসকে কেন্দ্র করেই এই বিক্ষোভ। সোমবার মধ্যরাতে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল লোকসভায় পাস হয়েছে। টানা ৬ ঘণ্টা ধরে আজ রাজ্যসভায় এই বিল নিয়ে বিতর্ক চলছে। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে সংসদে এই বিল পাস করিয়ে নিতে পেরেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। একেবারে শেষমুহূর্তে বিলের সমর্থন করেন শিবসেনা সাংসদরা। গতকাল থেকেই বনধ করে চলছে বিক্ষোভকারীরা। প্রতিবেশী ত্রিপুরাতে (Tripura) আছড়ে পড়ে বিক্ষোভের ঝড়। বাধ্য হয়েই ৪৮ ঘণ্টার জন্য ইন্টারনেট (Internet) পরিষেবা বন্ধ করে দেয় ত্রিপুরা সরকার।