বিজেপিতে BRS-এর মিশে যাওয়ার জল্পনার মাঝে কেসিআরের ৯ বিধায়ক কংগ্রেসে
তেলাঙ্গানা রাজনীতিতে একেরারে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাওয়ার পথে রাজ্যের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও দল। ক বছর আগে তেলাঙ্গানা রাজনীতিতে একচ্ছত্র রাজ করা ভারত রাষ্ট্রীয় সমিতি (BRS)-র অস্তিত্ত্ব সঙ্কটে হয়ে পড়ল।
হায়দরাবাদ, ১৫ জুলাই: তেলাঙ্গানা রাজনীতিতে একেরারে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাওয়ার পথে রাজ্যের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও দল। ক বছর আগে তেলাঙ্গানা রাজনীতিতে একচ্ছত্র রাজ করা ভারত রাষ্ট্রীয় সমিতি (BRS)-র অস্তিত্ত্ব সঙ্কটে হয়ে পড়ল। কেসিআর-এর দলের ৯ জন বিধায়ক ও দলের বড় নেতা গালি অনিল কুমার রাজ্যের শাসক দল কংগ্রেসে যোগ দতিলেন। মুখ্যমন্ত্রী রেভান্ত রেড্ডি-র হাত ধরে বিআরএস-এর একঝাঁক নেতা, বিধায়ক এদিন কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর রাজনৈতিক মহলের একটাই প্রশ্ন,দলটা আর থাকবে তো? সম্প্রতি শেষ হওয়া লোকসভা নির্বাচনে তেলাঙ্গানায় ৮টি আসনে জেতে কংগ্রেস, ৮টি জেতে বিজেপি, বাকি একটি আসনে জেতেন মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। লোকসভা ভোটের পর থেকেই বিআরএস ছেড়ে কংগ্রেস, বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক পড়ে গিয়েছে।
গত বছর তেলঙ্গানা বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের শাসক দল হিসেবে ভোটে লড়ে কেসিরাও-য়ের দল বিআরএস পায় মাত্র ৩৯টি আসন। সেখানে ৬৪টি আসনে জিতে প্রথমবার দক্ষিণের এই রাজ্য়ে ক্ষমতায় আসে কংগ্রেস। বিজেপি বিধানসভাতে মাত্র ৮টি আসন পেলেও, বিআরএস-এর ভোটব্য়াঙ্কে পুরোপুরি থাবা বসিয়ে লোকসভায় ৮টি-তে জিতে চমকে দেয়। তেলাঙ্গানায় সিংহাসনের লড়াইয়ে এখন সবচেয়ে বড় দিক হল বিআরএসের ভোট কোন দিকে যায়।
দেখুন খবরটি
বিআরএসের অধিকাংশ নেতা যখন কংগ্রেসে আসছেন, তখন জোর জল্পনা কেসিআর তাঁর দলকে হয়তো বিজেপি-তে মিশিয়ে দেবেন। কারণ এখন তার দলের যা অবস্থা তাতে রাজ্যের সব আসনে প্রার্থী খুঁজে পাওয়ার ক্ষমতা তাদের হবে না। অথচ ২০১৮ তেলাঙ্গানা নির্বাচনে টিআরএস (তখন বিআরএস-এর নাম ছিল) ৮৮টি আসনে জিতে টানা দু বার ক্ষমতায় এসেছিল। তার পরের বছর লোকাসভাতেও দারুণ ফল করে কেসিরাওয়ের দল। কিন্তু তেলাঙ্গানা রাজনীতির প্রেক্ষাপট কয়েক বছরের মধ্যে দ্রুত বদলে গেল।