Tathagata Roy: ''কাটা গরু ঝুলছে...'', গো-রক্ষায় অসমের মতো বাংলায়ও আইন হওয়া উচিত, বললেন তথাগত

অসম সরকারের ওই বিলে যে বিষয়গুলির উল্লেখ করা হয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে হিন্দু, জৈন, শিখ ধর্মাবলম্বী মানুষ যেখানোে বসবাস করেন, তার আশপাশে গোমাংস বিক্রি করা যাবে না।

ছবি ট্যুইটার

গুয়াহাটি, ১৩ জুলাই: গো-রক্ষায় অসম বিধানসভায় যে বিল আনা হয়েছে, সে বিষয়ে সমর্থন জানিয়ে মুখ খুললেন তথাগত রায় (Tathagata Roy)। পশু সুরক্ষা আইনকে মাথায় রেখে গো-রক্ষার স্বার্থে অসম বিধানসভায় যে বিল আনা হয়েছে, সে বিষয়ে মঙ্গলবার নিজের মত প্রকাশ করেন তথাগত রায়।

তিনি বলেন, ''অসমের প্রতিবেশী বাংলাদেশে শূয়োরের মাংস নিয়ে কোনো কিছু করা গোটা দেশেই বারণ। সে তুলনায় গোমাংস সম্বন্ধে হিমন্ত বিশ্বশর্মার আনা বিল খুবই সময়োচিত ও মৃদু। একটা কাটা গরু ঝুলছে, চর্বিগুলো হলুদ হয়ে গেছে, এ দৃশ্য যে কোনো হিন্দুরই বিবমিষা উদ্রেক করে। পশ্চিমবঙ্গেও এরকম আইন হওয়া উচিত।''

 

গো-রক্ষার স্বার্থে অসমের (Assam) পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও (West Bengal) এই আইন আনা উচিত বলে দাবি করেন তথাগত রায়। তথাগত রায়ের ওই ট্যুইট প্রকাশ্যে আসতেই তা একের পর এক পালটা রিট্যুইট হতে শুরু করে। বিষয়টি নিয়ে জোর আলোচনাও শুরু হয়ে যায় নেটিজেনদের মধ্যে।

আরও পড়ুন: Sourav Ganguly’s Biopic: সৌরভের বায়োপিক, মহারাজের চরিত্রে দেখা যেতে পারে রণবীর কাপুরকে

এদিকে গো-রক্ষার স্বার্থে অসম সরকার বিধানসভায় যে বিল পেশ করে, সেখানে একাধিক বিষয়ের উল্লেখ করা হয়েছে। অসম সরকারের ওই বিলে যে বিষয়গুলির উল্লেখ করা হয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে হিন্দু, জৈন, শিখ ধর্মাবলম্বী মানুষ যেখানোে বসবাস করেন, তার আশপাশে গোমাংস বিক্রি করা যাবে না। পাশাপাশি মন্দিরের ৫ কিলোমিটার এলাকার মধ্যেও গোমাংস বিক্রি করা যাবে না বলে জানানো হয়েছে ওই বিলে।

দিনের পর দিন ধরে অসম এবং বাংলাদেশে যেভাবে গরুর চোরাচালান হচ্ছে, তা বন্ধ করতেই এই বিল কার্যকর করা হচ্ছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। যে কোনও মন্দির সংলগ্ন এলাকায় অর্থাৎ ৫ কিলোমিটারের মধ্যে গোমাংস বিক্রি করলে, তা আইন ভাঙার সামিল হবে। আইন ভাঙলে তার বিরুদ্ধে ,উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে বলে স্পষ্ট জানানো হয়েছে।

পাশাপাশি এই আইন গোটা রাজ্যে লাগু হলে, বাংলাদেশে (Bangladesh) গরু পাচারের প্রবণতা কমানো যাবে বলেও মনে করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী।