ধর্ষণে বাধা পড়ায় মা-মেয়েকে হেনস্তার পর মাথা মুড়িয়ে গ্রাম ঘোরাল কাউন্সিলর
বিহারে জঙ্গল রাজ।
হাজিপুর, ২৮জুন: তরুণীকে ধর্ষণ করতে এসে মায়ের প্রবল বাধার মুখে পড়তে হয়েছে এলাকার কাউন্সিলরকে। এই অপরাধে মা মেয়েকে বেধড়ক মারধরের পর দুজনের মাথা মুড়িয়ে গোটা এলাকা ঘোরানোর হল। অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের বৈশালি জেলার ভগবানপুর এলাকায়। এই অপমানের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। রাতের অন্ধকারে সাহস সঞ্চয় করে থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান নির্যাতিতা মা-মেয়ে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সাত অভিযুক্তের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে প্রধান নাটের গুরু কাউন্সিলর মহম্মদ খুরশিদ। আরও পড়ুন-স্বজনহীন হিন্দু কর্মীর মৃত্যুতে সনাতনি প্রথায় পারলৌকিক ক্রিয়া সম্পন্ন করল খান পরিবার
জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই ওই তরুণীকে হেনস্তা করছিল কাউন্সিলর ও তার দলবল। বৃহস্পতিবার রাতে তরুণীর বাবা বাড়ি ছিলেন না। এই খবর জানতে পেরেই তাঁকে গণধর্ষণের জন্য দলবল নিয়ে বাড়িতে হানা দেয় খুরশিদ। তবে বছর ৪৮-এর মা মেয়ের সম্মানহানি রুখতে শেষপর্যন্ত লড়ে যান। এরজন্য ওই মহিলাকে বেধড়ক মারধর খেতে হয়েছে। এমন ঘটনা চোখের সামনে দেখেও প্রতিবেশীরা কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি। তবে থানায় অভিযোগ দায়ের হতেই পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নেয় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও বাকিদের কোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। নির্যাতিতাদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এই হামলা, শ্লীলতাহানি গণধর্ষণের চেষ্টা গোটা ঘটনাটিই সত্যি। তদন্তে শুরু হয়েছে, অপরাধ প্রমাণিত হলে দোষীরা কেউ পার পাবে না। ঘটনার দিন পরিকল্পনা ছকেই মা-মেয়ের বাড়িতে হামলা করে খুরশিদ। গিয়ে জানায়, তাঁরা নাকি অবৈধভাবে মাংসের ব্যবসা করছেন। এই বলেই বাড়িতে ঢুকে পড়ে কাউন্সিলর ও তার দলবল। অভিযোগ কিছু বুঝে ওঠার আগেই তরুণীর উপরে চড়াও হয় খুরশিদ। তবে অনিষ্ট করে উঠতে পারেনি এই যা রক্ষে।