IPL Auction 2025 Live

Bengaluru: লকডাউনে আটকে পড়েছেন দ্বিতীয় স্ত্রীর বাড়িতে, রেগে গিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ প্রথম স্ত্রী

দুটি বিয়ে করেছিলেন। দুই স্ত্রীয়ের কাছে সমান সময় কাটাবেন বলে চুক্তিও করেছিলেন। যদিও সেসব চলছিল লকডাউনের (Coronavirus Lockdown) আগে পর্যন্ত। লকডাউন জারি হতেই সেই নিয়ম আর মানা হচ্ছে না। কারণ লকডাউন চালু হওয়ার সময় তিনি ছিলেন দ্বিতীয় স্ত্রী-র কাছে। আর তাতেই বেজায় রেগে গেছেন প্রথম স্ত্রী। শুধু তাই নয়, এনিয়ে বিচার চেয়ে তিনি দ্বারস্থ হয়েছেন বেঙ্গালুরু (Bengaluru) পুলিশের। বেঙ্গালুরু মহিলা পুলিশের হেল্পলাইনে তিনি এনিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন।

(Photo Credits: File Photo)

বেঙ্গালুরু, ১১ এপ্রিল: দুটি বিয়ে করেছিলেন। দুই স্ত্রীয়ের কাছে সমান সময় কাটাবেন বলে চুক্তিও করেছিলেন। যদিও সেসব চলছিল লকডাউনের (Coronavirus Lockdown) আগে পর্যন্ত। লকডাউন জারি হতেই সেই নিয়ম আর মানা হচ্ছে না। কারণ লকডাউন চালু হওয়ার সময় তিনি ছিলেন দ্বিতীয় স্ত্রী-র কাছে। আর তাতেই বেজায় রেগে গেছেন প্রথম স্ত্রী। শুধু তাই নয়, এনিয়ে বিচার চেয়ে তিনি দ্বারস্থ হয়েছেন বেঙ্গালুরু (Bengaluru) পুলিশের। বেঙ্গালুরু মহিলা পুলিশের হেল্পলাইনে তিনি এনিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন।

জানা গেছে, আকাশের সঙ্গে বিয়ে হয় বর্ষার। দম্পতির একটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের ১০ বছর পরে বর্ষা জানতে পারেন যে আকাশের সঙ্গে সনিয়া নামের এক মহিলার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। আকাশ দু'দিকেই সময় দিত এমনভাবে যাতে কেউ না বুঝতে পারে, যাতে না কেউই একে অপরের সম্পর্কে জানতে পারে। বিষয়টি যখন প্রকাশ্যে আসে তখন আকাশ সনিয়াকে বিয়ে করার কথা স্বীকার করেন। এরপরেই, বর্ষা বেঙ্গালুরু শহর পুলিশের মহিলাদের হেল্পলাইনে যোগাযোগ করেন। যদিও আকাশ বুঝিয়ে সুঝিয়ে বর্ষাকে অভিযোগ প্রত্যাহারে রাজি করান। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে আকাশ দুই স্ত্রী-র যত্ন নেবে এবং এক সপ্তাহ এক স্ত্রী-র সঙ্গে থাকবে এবং পরের সপ্তাহে অন্য জনের সঙ্গে থাকবে। ২১ মার্চ আকাশ সনিয়ার কাছে ছিলেন। ২৮ মার্চ থেকে বর্ষার বাড়িতে থাকার কথা ছিল। তবে ২৪ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করলে আকাশ আটকে পড়েন সনিয়ার বাড়িতে। আরও পড়ুন: Coronavirus Lockdown: ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যে লকডাউন, করোনা আক্রান্ত বেড়ে ৯৫; নবান্নে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

২৮ মার্চ আকাশ বাড়িতে না পৌঁছলে মুদিখানা ফুরিয়ে যাওয়ার কারণে বর্ষা তাঁকে ডাকতে শুরু করেন। সুযোগ পেলেই আকাশ ফিরে আসার আশ্বাস দিয়েছিলেন। যদিও আকাশ কথা না রাখায় বর্ষা মহিলাদের হেল্পলাইনে যোগাযোগ করে অভিযোগ জানান। এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, "আকাশ আমাদের বলেছে যে সে বর্ষার বাড়িতে মুদিখানা মাল সরবরাহের ব্যবস্থা করবে। আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেলে সে দুই স্ত্রীর কাছেই থাকবে।"