Assam Woman in Pakistan Jail: বিনা অনুমতিতে অনুপ্রবেশে পাকিস্তান জেলে বন্দি অসমের এক মহিলা

স্বামীর মৃত্যুর পর ওয়াহিদা বেগম এমন এক ব্যক্তির প্রেমে পড়েন, যাকে আফগান বা পাকিস্তানি নাগরিক বলে সন্দেহ করা হয়। তবে এখনো তার পরিচয় নিশ্চিত হয়নি। ওই নারী তার বৈবাহিক সম্পত্তি বিক্রি করে ওই ব্যক্তির সঙ্গে তার ছেলেসহ গত নভেম্বরে সৌদি আরবে চলে যান।

Assam Woman Wahida Begum (Photo Credit: PTI/Twitter)

গুয়াহাটি, ৬ জানুয়ারি: অসমের নগাঁও (Nagaon) জেলার বাসিন্দা এক মহিলা ও তাঁর নাবালক ছেলে পাকিস্তান জেলে বন্দি। তাঁরা গত বছরের নভেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়াই পাকিস্তানে প্রবেশের অভিযোগে সেই দেশে একটি কারাগারে আটক করা হয়েছে। ওয়াহিদা বেগম (Wahida Begum) নামে ওই নারী দুই বছর আগে তার স্বামীকে হারান। তিনি তার প্রয়াত স্বামীর সম্পত্তি উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছিলেন। নগাঁও জেলার পুলিশ সুপার লীনা দোলে (Leena Doley) আইএএনএস-কে বলেন, মৃত স্বামীর থেকে ওই মহিলার একটি ছেলে রয়েছে। স্বামীর মৃত্যুর পর ওয়াহিদা বেগম এমন এক ব্যক্তির প্রেমে পড়েন, যাকে আফগান বা পাকিস্তানি নাগরিক বলে সন্দেহ করা হয়। তবে এখনো তার পরিচয় নিশ্চিত হয়নি। ওই নারী তার বৈবাহিক সম্পত্তি বিক্রি করে ওই ব্যক্তির সঙ্গে তার ছেলেসহ গত নভেম্বরে সৌদি আরবে চলে যান। Woman Misbehaving With Cops: কর্তব্যরত পুলিশের সঙ্গে চরম অভদ্র ব্যবহার মহিলার, দেখুন ঘটনাস্থলের ভিডিয়ো

ওই ঘটনার পর তার মা আজিফা খাতুন নগাঁও থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। এদিকে, গত ডিসেম্বরে পাকিস্তানের একটি ল' ফার্মের কাছ থেকে একটি চিঠি পান তিনি। চিঠিতে বলা হয়, ওয়াহিদা ও তার ছেলেকে অনুমোদিত ভ্রমণের পরিচয়পত্র ছাড়াই সীমান্ত পার হওয়ার কারণে পাকিস্তানি সেনারা আটক করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁরা ওই নারীর সঙ্গে তার মায়ের মোবাইলে কথা বলে। ওয়াহিদা তাঁদের জানায় যে তিনি এবং তাঁর ছেলে বর্তমানে পাকিস্তানের কোয়েটা কারাগারের মহিলা ওয়ার্ডে রয়েছেন।

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই যুবক ওই মহিলাকে ফুসলিয়ে নিয়ে যায়। সেই কারণেই আসামে নিজের সম্পত্তি বিক্রি করে তার সঙ্গে সৌদি আরবে চলে যান তিনি। তারা কীভাবে পাকিস্তানে চলে যায় তা পুলিশের কাছে রহস্যের বিষয়। এখন ওই মহিলা আসামে ফিরে আসতে চান এবং পুলিশের সাহায্য চান। নগাঁও পুলিশ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে এনেছে।তাঁর মা জানান, তিনি পাকিস্তানি দূতাবাসে চিঠি দিয়েছেন, কিন্তু কোনও সাড়া না পাওয়ায় তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন, তিনি তার মেয়ে ও নাতিকে পাকিস্তানি হেফাজতে থেকে মুক্তি দেওয়ার পাশাপাশি তাদের জীবনের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।