উপত্যকা থেকে ৭০ জন জঙ্গি ও কট্টরপন্থী নেতাদের আগ্রায় উড়িয়ে আনল কেন্দ্র
৩৭০ ধারা বিলোপ হতে না হতেই ৭০ জন জঙ্গি-সহ কট্টর পাকিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কাশ্মীর থেকে উড়িয়ে আনা হল। বায়ু সেনার বিমানে করে আচমকাই এদের আগ্রায় নিয়ে আসা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঠিক তার আগেভাগেই উপত্যাকার ৭০জন জঙ্গি ও বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের আগ্রায় উড়িয়ে আনল সেনা।
আগ্রা, ৯ আগস্ট: ৩৭০ ধারা (Article 370) বিলোপ হতে না হতেই ৭০ জন জঙ্গি-সহ কট্টর পাকিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কাশ্মীর থেকে উড়িয়ে আনা হল। বায়ু সেনার বিমানে করে আচমকাই এদের আগ্রায় নিয়ে আসা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঠিক তার আগেভাগেই উপত্যাকার ৭০জন জঙ্গি ও বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের আগ্রায় উড়িয়ে আনল সেনা। তবে ঠিক কী কারণে এদের আগ্রায় আনা হয়েছে তানিয়ে মুখ খোলেনি কেন্দ্র। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইদ (Eid) উপলক্ষে উপত্যকায় কার্ফিউ শিথিল হচ্ছে। সেই সময় বিক্ষোভ বিদ্রোহ এড়াতেই এই বন্দোবস্ত। আরও পড়ুন-কাশ্মীরিরা বকরি ইদে বাড়ি ফিরতে পারবেন, প্রতিশ্রুতি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
উল্লেখ্য,সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপের পর থেকেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে উপত্যকায়। মোতায়েন হয়েছে অতিরিক্ত সেনাবাহিনীও। ওমর আবদুল্লা, মেহেবুবা মুফতি সহ জম্মু ও কাশ্মীরের একাধিক রাজনৈতিক নেতাদের কাউকে গৃহবন্দি বা কাউকে সতর্কতামূলক গ্রেফতার করেছে নিরাপত্তাবাহিনী। বেশ কিছু জায়গায় আন্দোলনের আঁচ পড়তেও শুরু করেছে। বুধবার সিআরপিএফ-এর হাত থেকে পালাতে গিয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু হয়েছে এক বছর সতেরোর কিশোরের। বৃহস্পতিবার শ্রীনগর (Srinagar) বিমানবন্দর থেকেই ফেরত পাঠানো হয়েছে কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা গুলাম নবি আজাদকে (Ghulam Nabi Azad) ও। এসবের পরেও কেন্দ্রের বক্তব্য অনুযায়ী কাশ্মীরিরা ভালোই আছেন। তার প্রমাণ দেখাতে বিশেষ নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল শ্রীনগরেই ঘাঁটি গেড়েছেন। ইতিমধ্যে তিনি সোপিায়ানের স্থানীয়দের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজও সারেন। মেনুতে ছিল বিরিয়ানি। কাশ্মীরিরা যে ৩৭০-এর বিলোপকে স্বাগত জানিয়েছেন, সেই রিপোর্ট কেন্দ্রকে পাঠিয়েছেন তিনি। তবে টুইটারে ছবি দেখে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদ। তিনি বলেছেন, টাকা দিলে অনেক কিছুই হয়। সাদরে আমন্ত্রণ জানিয়েই যখন মধ্যাহ্নভোজ হবে, তখন তিনি থার্মোকলের প্লেটে কেন খাচ্ছেন। এরপর বিজেপি নেতা শাহনওয়াজ হোসেন এই মন্তব্যের জন্য ডোভালের কাছে ক্ষমা চাইতে বলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতাকে।
গত মঙ্গলবার বন্দিদশা থেকে বেরিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদে তাঁর উপস্থিতি নিয়ে মিথ্যাচার করেছেন। তা বলতেও দ্বিধা করেননি এই প্রবীণ রাজনীতিক।