Allahabad HC: যোগীর রাজ্যে পড়ল সিএএ বিরোধীদের ছবি সমেত হোর্ডিং, সেসব সরানোর নির্দেশ এলাহাবাদ হাইকোর্টের
সিএএ বিরোধী প্রচারে যে ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল, উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে তাদের ছবি সমেত হোর্ডিং পড়ে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায়। সোমবার এলাহবাদ হাইকোর্ট (Allahabad HC) এই সংক্রান্ত শুনানিতে রাজ্য সরকারকে সেই সব হোর্ডিং সরানোর নির্দেশ দিল। প্রধান বিচারপতি গোবিন্দ মাথুরের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলার রায় দিল। আদালত মৌখিকভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে, তারপরই রাজ্য থেকেই সিএএ বিরোধী হিংসায় জড়িতদের সচিত্র বিজ্ঞাপন সরানোর নির্দেশ দিয়েছে। আদালতের মতে এই সব হোর্ডিং সরলেই ধীরে ধীকে মানুষের শুভবুদ্ধি জাগ্রত হবে, রাজ্যে সুস্থিতি ফিরবে।
লখনউ, ৯ মার্চ: সিএএ বিরোধী প্রচারে যে ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল, উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে তাদের ছবি সমেত হোর্ডিং পড়ে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায়। সোমবার এলাহবাদ হাইকোর্ট (Allahabad HC) এই সংক্রান্ত শুনানিতে রাজ্য সরকারকে সেই সব হোর্ডিং সরানোর নির্দেশ দিল। প্রধান বিচারপতি গোবিন্দ মাথুরের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলার রায় দিল। আদালত মৌখিকভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে, তারপরই রাজ্য থেকেই সিএএ বিরোধী হিংসায় জড়িতদের সচিত্র বিজ্ঞাপন সরানোর নির্দেশ দিয়েছে। আদালতের মতে এই সব হোর্ডিং সরলেই ধীরে ধীকে মানুষের শুভবুদ্ধি জাগ্রত হবে, রাজ্যে সুস্থিতি ফিরবে।
লখনউ প্রশাসন রাজ্যের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সিএএ বিরোধীদের ছবি-সহ ১০০টি হোর্ডিং লাগিয়েছিল। এই হোর্ডিংয়ে অভিযুক্তের সচিত্র পরিচয় ছিল, নাম ধামের সঙ্গে ঠিকানাও বাদ যায়নি। এই ধরনের হোর্ডিং দেখে অভিযুক্তের তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে সিএএ বিরোধীদের ছবি দিয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকারের এহেন হোর্ডিং প্রকাশের ঘটনায় নিন্দায় সরব হয়েছেন সেখানকার সমাজকর্ী থেকে শুরু করে আইনজীবী ও বিরোধী রাজনীতিকরা। আরও পড়ুন- Coronavirus Outbreak In India: কেরালার ৩ বছরের শিশু-সহ ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪৩, বাদ গেল না জম্মু কাশ্মীরও
২০১৯- সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন তৈরি হতেই দেশজুড়ে ক্ষোভের আগুন জ্বলতে থাকে। এই তালিকা থেকে বাদ যায়নি উত্তরপ্রদেশও। সেখানেও হিংসার ঘটনা ঘটতে থাকে একের পর এক। খুনোখুনি থেকে ধ্বংসলীলা কিছুই বাকি ছিল না। এই তদন্তের অংশ হিসাবে সহিংসা ছড়ানো কয়েকটি জেলায় হাজার হাজার বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে দাঙ্গা ও খুনের চেষ্টা করার অভিযোগ দায়ের করে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন।