Akhilesh Yadav: 'দিল্লি চলো' নয়, বিজেপিকে হারাতে লখনউয়ে মাটি কামড়ে থাকতে ইস্তফা সাংসদ অখিলেশ যাদবের
সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে লক্ষ্যপূরণ হয়নি। যোগী আদিত্যনাথকে টানা দু বার মসনদে বসা থাকা আটকাতে পারেননি সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব।
লখনউ, ২২ মার্চ: সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে (Uttar Pradesh Assembly Elections 2022) লক্ষ্যপূরণ হয়নি। যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Aditynath)-কে টানা দু বার মসনদে বসা থাকা আটকাতে পারেননি সমাজবাদী পার্টির (SP) প্রধান অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav)। তবে আগের চেয়ে বেশি আসনে জয় পেয়েছে সমাজবাদী পার্টি। কারহাল থেকে নিজে আসনে জেতেওছেন অখিলেশ। কারহাল থেকে জয়ের পর অখিলেশ সাংসদ-বিধায়ক দুটোই হয়ে গিয়েছিলেন। সাংবিধানিক রীতি অনুযায়ী সাংসদ বা বিধায়ক পদের মধ্যে যে কোনও একটা রাখা যায়। যোগীকে ফাঁকা জমি ছাড়তে নারাজ অখিলেশ বিধায়ক পদটাই রাখলেন। আজ, মঙ্গলবার সংসদে গিয়ে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার কাছে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন মুলায়ম সিং যাদব পুত্র।
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে আজমগড় কেন্দ্র থেকে জিতে সাংসদ হয়েছিলেন অখিলেশ। অখিলেশের পাশাপাশি সমাজবাদী পার্টির আরও শীর্ষ নেতা আজম খান নিজের রাজ্য রাজনীতিতে মন দিতে সাংসদ পদ ছেড়ে, বিধায়ক থাকলেন। সদ্য সমাপ্ত ইউপি বিধানসভা নির্বাচনে রামপুর কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন আজম খান। কিন্তু কেন সাংসদ পদ ছেড়ে বিধায়ক রয়ে গেলেন অখিলেশ যাদব? রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আসন্ন ২০২৪ লোকসভার চেয়ে ২০২৭ বিধানসভা নির্বাচনকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন অখিলেশ। দিল্লিতে মন-সময় দিতে গিয়ে, রাজ্যে যাতে যোগী আদিত্যনাথ ফাঁকা জমি না পেয়ে যান সেটা দেখছে সমাজবাদী পার্টি।
ভোটে হারলেও সমাজবাদী পার্টি মন করছে, বিজেপি-র বিপুল অর্থ আর মেশিনারি না থাকলেও তারাই মানুষের আর্শীবাদ বেশি পেত। আর তাই রাজ্যজুড়ে বড় আন্দোলন করে ২৭-র ইউপি নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করতে চান অখিলেশ। ২০২৪ লোকসভায় উত্তরপ্রদেশে বিজেপি-কে হারাতে হলে দিল্লি থেকে নয়, রাজ্য থেকেই মূল লড়াইটা চালাতে হবে বলেই, দিল্লি চলো নয় লখনউয়ে পড়ে থাকো ফর্মুলাতেই আঁকড়ে থাকলেন অখিলেশ। আরও পড়ুন: 'উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তৈরি হয়েছে দ্য কাশ্মীর ফাইলস', অভিযোগ ফারুক আবদুল্লার
দেখুন টুইট
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে রামপুর কেন্দ্র থেকে জিতে সাংসদ হয়েছিলেন তিনি। দুই এসপি শীর্ষ নেতার পদত্যাগের ফলে এবার আজমগড় ও রামপুর লোকসভায় উপনির্বাচন হবে। আমাদের রাজ্যে ব্যাপারটা উল্টো হয়েছিল দিনহাটা বিধানসভা থেকে জিতলেও সাংসদ পদ রেখে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন বিজেপি-র নিশীথ প্রামাণিক। পরে তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পান। অন্যদিকে, শান্তিপুর বিধানসভা থেকে জিতলেও রানাঘাটে সাংসদ পদ রেখে দিয়ে বিধায়ক হিসেবে পদত্যাগ করেছিলেন বিজেপি-র জগন্নাথ সরকার।
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)