Adani-Hindenburg Verdict:সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি আদানির, হিন্ডেনবার্গ মামলায় সিটের তদন্ত নাকচ স্পেশাল বেঞ্চের

আদালত আরও বলেছে যে সেবি-এর তদন্তের নিয়মে কোনও ত্রুটি নেই এবং এই মামলার তদন্ত সেবির পরিবর্তে তাই সিটকে হস্তান্তর করা হবে না।

সুপ্রিম কোর্ট থেকে বড়সড় স্বস্তি পেলেন আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি। আদানি-হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ মামলায় সেবির (SEBI) তদন্তে হস্তক্ষেপ করতে রাজি হয়নি সুপ্রিম কোর্ট।প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। রায় দেওয়ার সময় সুপ্রিম কোর্ট এই মামলাটিকে সিট( SIT)-এ স্থানান্তর করার দাবিও প্রত্যাখ্যান করে।আদালত বলেছে সিট এর কাছে এই মামলা পাঠানোর কোনও ভিত্তি নেই কারণ সেবি নিজেই একটি উপযুক্ত সংস্থা। এছাড়া আদালত বলেছে যে সেবি (SEBI)২২ টি মামলার মধ্যে ২০টি তদন্ত করেছে। বাকি দুটি মামলার তদন্তের জন্য সেবিকে তিন মাস সময় দেওয়া হয়েছে।সুপ্রিম কোর্টের রায় সামনে আসতেই তাঁকে স্বাগত জানিয়ে গৌতম আদানি একে সত্যের জয় বলে অভিহিত করেছেন।

গত ২৪ নভেম্বর ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়েছিল এবং তার পরে মামলার সিদ্ধান্ত সংরক্ষিত ছিল। শুনানির সময়, সেবির তদন্ত এবং বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যদের নিরপেক্ষতা নিয়ে উত্থাপিত প্রশ্নগুলি খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

প্রকৃতপক্ষে, আমেরিকার শর্ট সেলিং কোম্পানির হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ রিপোর্টে প্রকাশিত তথ্য সম্পর্কে পিটিশনের আবেদনের শুনানির সময়, সুপ্রিম কোর্ট মন্তব্য করেছিল যে হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টকে সত্য বিবৃতি হিসাবে বিবেচনা করা যায় না। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের সত্যতা যাচাই করার কোনও উপায় নেই, যার কারণে এটি সেবিকে বিষয়টি তদন্ত করতে বলেছে এবং সেবি তার তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে।

হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ গত বছরের ২৪ জানুয়ারি আদানি গ্রুপ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। এতে আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে শেয়ারের দামে কারসাজিসহ নানা অভিযোগ ওঠে। যদিও আদানি গ্রুপ এই রিপোর্টকে সম্পূর্ণ মিথ্যা বলেছে। এই রিপোর্ট আসার পরে, আদানি গ্রুপের সমস্ত শেয়ার দ্রুত পড়ে যায় এবং তাদের সম্পত্তিরও ব্যাপক ক্ষতি হয়।