Arvind Kejriwal: কৃষি আইনের কাগজপত্র ছিঁড়ে বিধানসভায় চরম প্রতিবাদ অরবিন্দ কেজরিওয়াল-সহ আপ নেতারা

কৃষক আন্দোলন (Farmers Protest) দিনকে দিন বৃহত্তর আকার নিচ্ছে। তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার না হলে নিজেদের অবস্থান থেকে না সরার হুঁশিয়ারি দিয়েছে কৃষকেরা। অন্যদিকে কেন্দ্রও কৃষি আইন নিয়ে কোনও অতিরিক্ত মন্তব্য করতে নারাজ। এই বিষয়টি নিয়েই বৃহস্পতিবার দিল্লিতে বিশেষ বিধানসভা অধিবেশনে বিতর্কিত আইন নিয়ে গর্জে উঠলেন দিল্লির (Delhi) মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। কেন্দ্রের কৃষি আইন সংক্রান্ত সমস্ত কাগজপত্র ছিঁড়ে মাটিতে ফেলে দেন কেজরিওয়াল। আম আদমি পার্টির অফিসিয়াল টুইটার পেজে ভিডিওটি পোস্ট করাও হয়েছে। কেজরিওয়াল প্রশ্ন তোলেন, "আমি কেন্দ্রের কাছে জানতে চাই কৃষকেরা নিজেদের দাবি পূরণের জন্য আর কত আত্মত্যাগ করবেন।"

Arvind Kejriwal tearing Farm Laws (Photo Credits: ANI)

নয়াদিল্লি, ১৭ ডিসেম্বর: কৃষক আন্দোলন (Farmers Protest) দিনকে দিন বৃহত্তর আকার নিচ্ছে। তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার না হলে নিজেদের অবস্থান থেকে না সরার হুঁশিয়ারি দিয়েছে কৃষকেরা। অন্যদিকে কেন্দ্রও কৃষি আইন নিয়ে কোনও অতিরিক্ত মন্তব্য করতে নারাজ। এই বিষয়টি নিয়েই বৃহস্পতিবার দিল্লিতে বিশেষ বিধানসভা অধিবেশনে বিতর্কিত আইন নিয়ে গর্জে উঠলেন দিল্লির (Delhi) মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। কেন্দ্রের কৃষি আইন সংক্রান্ত সমস্ত কাগজপত্র ছিঁড়ে মাটিতে ফেলে দেন কেজরিওয়াল। আম আদমি পার্টির অফিসিয়াল টুইটার পেজে ভিডিওটি পোস্ট করাও হয়েছে। কেজরিওয়াল প্রশ্ন তোলেন, "আমি কেন্দ্রের কাছে জানতে চাই কৃষকেরা নিজেদের দাবি পূরণের জন্য আর কত আত্মত্যাগ করবেন।"

কেজরিওয়াল আরও বলেন, "আজ সকলকে দেখে ভগত সিংয়ের কথা মনে পড়ছে। সরকার বলছে তারা কৃষকেদের কাছে পৌঁছবেন এবং কৃষি বিলের সুবিধে নিয়ে আলোচনা করবে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কৃষকদের বলেছেন, এই কৃষি বিলের মাধ্যমে সুবিধেই পাবেন কৃষকেরা। তাদের জমি তাদের কাছেই থাকবে, কেড়ে নেওয়া হবে না। এটাই কী একমাত্র সুবিধা?"

কৃষি বিল নিয়ে বিধানসভা অধিবেশনে প্রতিবাদ অরবিন্দ কেজরিওয়ালের:

কেজরিওয়াল ছাড়াও আপের দুই বিধায়ক মহেন্দ্র গোয়াল এবং সোমনাথ ভারতীও কৃষি বিলের প্রতিবাদ জানিয়ে আইন সংক্রান্ত সমস্ত কাগজপত্র ছিলেন ফেলেন। সেপ্টেম্বরে যে কৃষি বিল পাশ করানো হয় বিধানসভায়। সেই সংক্রান্তই আলোচনার জন্য আজ বিশেষ অধিবেশনের আয়োজন করা হয় আপ নেতাদের সৌজন্যে।

পঞ্জাব এবং রাজস্থানের পর তৃতীয় রাজ্য হিসেবে দিল্লিও এই কৃষি বিলের চরম প্রতিবাদ জানাচ্ছে প্রথম থেকেই। ইতিমধ্যেই ৭ ডিসেম্বর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সিঙ্ঘু সীমান্তে যান উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোডিয়া, সত্যেন্দ্র জৈন, রাজেন্দ্র পাল গৌতম, ইমরান হুসেন।