Delhi: স্কুলের শিক্ষকের হাতে নিগৃহীত ১১ বছরের নাবালিকা, অভিযোগ অস্বীকার প্রধান শিক্ষকে, থানায় দায়ের অভিযোগ

দেশজুড়ে মহিলাদের ওপর যখন ধর্ষণ, যৌন হেনস্থার মতো অত্যাচার অব্যাহত, তখন একাধিক সরকারি, বেসরকারি স্কুলে ক্যারাটে, বক্সিংয়ের মতো আত্মরক্ষার ক্লাস দেওয়া হয়েছে মেয়েদের জন্য।

প্রতীকী ছবি (Photo Credits: File Photo)

দেশজুড়ে মহিলাদের ওপর যখন র মতো অত্যাচার অব্যাহত, তখন একাধিক সরকারি, বেসরকারি স্কুলে ক্যারাটে, বক্সিংয়ের মতো আত্মরক্ষার ক্লাস দেওয়া হয়েছে মেয়েদের জন্য। আর সেই আত্মরক্ষার ক্লাসেই হয়ে গেল শ্লীলতাহানীর মতো ঘটনা। শুক্রবার দিল্লির সুলতানপুরীর এইচ ব্লক এলাকায় সর্বোদয় কন্যা বিদ্যালয়ে (Sarvodaya Kanya Vidyalaya) এক ১১ বছরের শিশুকে শারীরিক হেনস্থা করা হয়। অভিযোগের তীর স্কুলের পার্ট টাইম টিচার সতীশের বিরুদ্ধে। নির্যাতিতার পরিবার জানান, এদিন সকালে স্কুলের আরেক শিক্ষকের মোবাইল থেকে তাঁদের মেয়ে ফোন করে বলেন যে ক্যারাটের শিক্ষক নাকি তাঁদের গায়ে অশালীনভাবে হাত দিয়েছিলেন এবং গোপনীয় স্থানীয় হাতে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এই অভিযোগের নিয়ে প্রথমে অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষকের কাছে যায়। সেখানে অভিযুক্ত শিক্ষককে পাশে নিয়ে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।

স্বাভাবিকভাবেইই প্রধান শিক্ষক কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায় তাঁরা সুলতানপুরী থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করে। পরিবারের দাবি, অভিযুক্ত শিক্ষকের পাশাপাশি প্রধান শিক্ষককে সাসপেণ্ড করতে হবে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ৪৫ বছর বয়সী সতীশকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার দণ্ডবিধি অনুযায়ী ৭৪, ৩৫১ ধারা ও ১০ নম্বর পকসো ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। অন্যদিকে ক্লাস সেভেনের নির্যাতিতা কিশোরীর শারীরিক পরীক্ষাও হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশসূত্রে খবর, সতীশ এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। ওই সংস্থা দিল্লির একাধিক স্কুলে বিনামূল্যে মেয়েদের আত্মরক্ষার জন্য বিশেষ ক্লাস দেয়। সতীশ সেই সূত্রেই স্কুলে যেতেন। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছ বলে জানিয়েছে পুলিশ।