COVID-19: ৮০% ভারতীয়ের বেতন কমেছে লকডাউনে, ইনস্যুরেন্স সংস্থা জেনেরালির সমীক্ষা অস্বীকার সরকারের
লকডাউনের (Lockdown in India) জেরে ৮০ শতাংশ ভারতীয়র বেতন কমেছে। যার জেরে ৯০ শতাংশ মানুষ রয়েছেন কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে। ভবিষ্যতের কথা ভেবেও তাঁরা আশঙ্কার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। সম্প্রতি ইনস্যুরেন্স সংস্থা জেনেরালি (Insurance firm Generali) একটি সমীক্ষা চালায়। সেই সমীক্ষাতেই উঠে এসেছে এই তথ্য। যদিও সরকার এই সমীক্ষার তথ্য একেবারেই নস্যাৎ করে দিয়েছে।
নয়াদিল্লি, ১০ জুন: লকডাউনের (Lockdown in India) জেরে ৮০ শতাংশ ভারতীয়র বেতন কমেছে। যার জেরে ৯০ শতাংশ মানুষ রয়েছেন কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে। ভবিষ্যতের কথা ভেবেও তাঁরা আশঙ্কার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। সম্প্রতি ইনস্যুরেন্স সংস্থা জেনেরালি (Insurance firm Generali) একটি সমীক্ষা চালায়। সেই সমীক্ষাতেই উঠে এসেছে এই তথ্য। যদিও সরকার এই সমীক্ষার তথ্য একেবারেই নস্যাৎ করে দিয়েছে। আরও পড়ুন: Kolkata: সোমবার থেকে খুলছে বেলুড় মঠ, দেখা যাবে না সন্ধ্যারতি
বেতন কমার পাশাপাশি যারা স্টার্ট আপ শুরু করেছিলেন, সেই সমস্ত সংস্থাও ধুঁকছে। ভারত-সহ ২২টি দেশের উপর এই সমীক্ষা চালিয়েছে সংস্থাটি। ভারতে ফিউচার গ্রুপের সঙ্গে জেভি পার্টনারশিপে কাজ করে এই ইনস্যুরেন্স সংস্থাটি। সমীক্ষার ফলাফলের উপর সংস্থাটি যে তথ্য পেশ করেছিল। সেটি কিছুটা এমন, "সাধারণ মানুষের মনে একটা অজানা ভয় কাজ করছে। চাকরির অনিশ্চয়তার জেরে ডিপ্রেশনে ভুগছেন বেশিরভাগ মানুষ। এদের মধ্যে অনেকেই সংসারের খরচ কীভাবে সামলাবেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না। জীবনের প্রতিটি ধাপে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তাঁরা।" সমীক্ষাটাতে আরও জানানো হচ্ছে, "ভারতের মোট জনসংখ্যার অর্দ্ধেক মানুষ ওয়ার্ক ফ্রম হোম করছেন এবং আগামী বেশ কয়েকমাস এভাবেই কাজ চলার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও কাজের সময় কমেনি। অফিসেও যে পরিমাণে কাজ করতে হত, ওয়ার্ক ফ্রম হোমেও সেই পরিমাণেই কাজ চলছে বরং কিছু ক্ষেত্রে সেই সময়টা আরও বাড়ছে।" সমীক্ষাটাতে আরও একটি বিষয় তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে দাবি করা হচ্ছে, "ক্ষতির মুখে যেসমস্ত সংস্থা রয়েছে। তাদের মধ্যে ৫৩ শতাংশ সংস্থা পুরোপুরি ক্ষতির মুখোমুখি। সরকারের সাহায্য এসে পৌঁছয়নি তাদের কছে। ৬০ শতাংশ সংস্থা নিজেদের সেভিংস এবং ইনভেস্টমেন্ট ভেঙে চলার চেষ্টা করছেন এবং ৩৯ শতাংশ মানুষের কাছে পরিবারের কাছে সাহায্যে চাওয়ার কোনও সুযোগ নেই।"
যদিও সরকার এই সমস্ত দাবি নস্যাৎ করে জানাচ্ছে, "মাত্র ৫৯৯ টি স্যাম্পেলের উপর ভরসা করে বানানো হয়েছে এই সমীক্ষাটি। এই সমীক্ষা থেকে কোনওভাবেই গোটা দেশের আর্থিক পরিস্থিতির মন্দাবস্থা আন্দাজ করা সম্ভব নয়।"