Mumbai Shocker: গুলি চালানোর পর চপারের এলোপাথাড়ি কোপ, প্রতিবেশীর ষড়যন্ত্রে খুন যুবক

পুরনো বিবাদের জেরে বছর বাইশের এক যুবককে চপারের আঘাতে ক্ষত বিক্ষত করার পর গুলি চালিয়ে খুন করা হল। এই ঘটনায় এখনপর্যন্ত চারজনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। দুজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও বাকিরা পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বইয়ের উল্লাশনগরে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত যুবকের নাম ভারত লস্কর। জমি নিয়ে সম্প্রতি প্রতিবেশী পরিবারের সঙ্গে ভারতের সামান্য মনোমালিন্য হয়েছিল। সেই থেকেই ঘটনার সূত্রপাত।

ছবিটি প্রতীকী (Photo Credits: Facebook)

মুম্বই, ৬ নভেম্বর: পুরনো বিবাদের জেরে বছর বাইশের এক যুবককে চপারের আঘাতে ক্ষত বিক্ষত করার পর গুলি চালিয়ে খুন করা হল। এই ঘটনায় এখনপর্যন্ত চারজনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। দুজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও বাকিরা পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বইয়ের উল্লাশনগরে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত যুবকের নাম ভারত লস্কর। জমি নিয়ে সম্প্রতি প্রতিবেশী পরিবারের সঙ্গে ভারতের সামান্য মনোমালিন্য হয়েছিল। সেই থেকেই ঘটনার সূত্রপাত। সোমবার রাতে কাজ থেকে ফিরছিলেন ভারত লস্কর (Bharat Lashkar)। সঙ্গে ছিল বন্ধু আনন্দ সোনওয়ানে। সেই সময় অভিযুক্ত ভারতের কপাল লক্ষ্য করে গুলি চালায়।

অভিযোগ, আর এক আততায়ী ততক্ষণে চপার নিয়ে ভারতের উপরে চড়াও হয়েছে। এদিকে বন্ধুর উপরে নেমে আসা এই আচমকা আক্রমণে যারপরনাই ঘাবড়ে যান আনন্দ। তিনি খেয়াল করেন বেশ খানিকটা দূরে দাঁড়িয়ে হামলাটি উপভোগ করছে ভারতের প্রতিবেশী যুবক। এই সময় আততায়ী চপার তলে আনন্দকে মারতে এলে তিনি প্রাণ ভয়ে পালিয়ে যান। বেশ খানিকটা দূরে গিয়ে লুকিয়ে থেকে গোটা ঘটনা প্রত্যক্ষ করতে থাকেন। আততায়ীরা ঘটনাস্থল ছাড়লে সাহায্যের আশায় চিৎকার করে স্থানীয়দের ডাকেন আনন্দ। ততক্ষণে আতঙ্কে দিশেহারা তিনি। তারপর তড়িঘড়ি আক্রান্ত ভারতকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসা চলাকালীন সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। আরও পড়ুন-Odd-Even Rule, Day 3: তৃতীয় দিনেও দূষণ ভারে জর্জরিত রাজধানী, আকাশজুড়ে ধোঁয়ার চাদর চিন্তা বাড়াচ্ছে

এদিকে এই আক্রমণ ও খুনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আনন্দ সোনওয়ানে নিজেই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি মৃত যুবকের বন্ধু। প্রতিবেশীর ইন্ধনেই যে ভারত লস্কর খুন হয়েছেন তা নিজের সাক্ষ্যে জানিয়েছেন আনন্দ। এই খুনের ঘটনায় সরাসরি তিনজন যুক্ত থাকলেও প্রধান চক্রী প্রতিবেশী কুম্ভর। পুলিশ ইতিমধ্যেই দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে বাকিদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। গোটা ঘটনায় এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া। সামান্য বিরোধ নিয়ে যে এত বড় মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে যেতে পারে, তা কেউ ভাবতেই পারছেন না। হতবাক মৃত ভারতের পরিবারের লোকজন।